চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কলিম উদ্দিন (৩৮) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শাখাওয়াত (৩২) নামে অপর এক যুবদল কর্মী। তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার বড় দারোগারহাট বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত কলিম উদ্দিন উপজেলার ২ নম্বর বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের ফেদাইনগর এলাকার মৃত আবু নাসেরের ছেলে। তিনি বিএনপি নেতা শরিফের অনুসারী এবং বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের পূর্ব লালানগর গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আহত শাখাওয়াত যুবদলের নেতা ইসমাইলের অনুসারী বলে জানা গেছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, সীতাকুণ্ডে সহস্র ধারা ঝরনার টেন্ডারসহ অন্যান্য ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বুধবার রাতে বিএনপি নেতা শরীফের অনুসারীদের সঙ্গে যুবদল নেতা ইসমাইলের অনুসারীদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে শরিফের অনুসারী কলিম উদ্দিন ও ইসমাইলের অনুসারী শাখাওয়াত গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক কলিম উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরছালিন দাবি করে করেছেন, মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি কলিম উদ্দিন নিহত হয়েছেন। মাদক ব্যবসায় বাধা পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা তার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা ছোটদারোগারহাটেই ছিলাম। হঠাৎ দেখি কিছু দুষ্কৃতকারী ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালাচ্ছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পুলিশকে অবগত করি। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই তারা কোপাকুপি করে চলে যায়। এ ঘটনায় কলিম উদ্দিন মারা গেছেন।’
এ প্রসঙ্গে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল। বুধবার রাতে সহস্র ধারা ঝরনার টেন্ডার নিয়ে বিরোধের জেরে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে হামলায় শরিফ গ্রুপের অনুসারী কলিম উদ্দিন নিহত হন। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’