আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানিকৃত পণ্য রাখার গুদামটি পচা গমের চালান অপসারণ না করায় বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ অবস্থায় ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। এতে করে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা।
স্থলবন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা জানান, গত ১ জুন ভারত থেকে তিন টনের কাজু বাদামের একটি চালান আসে। চালানটি আখাউড়া স্থলবন্দরে আসার পর কাস্টমস বিভাগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা মূল্যায়নের জন্য গত দুই দিন ধরে বন্দর এলাকায় অবস্থান করছিল। পরে খোলা আকাশের নিচে বাদামগুলোকে আজ সকালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এতে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আক্তার হোসেন ও আমদানিকারক মো. ইকবাল হোসেন জানান, আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানিকৃত পণ্য রাখার গুদামটি পচা গমের চালানের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। বিধান অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিংবা মূল্যায়ন করতে হলে গুদামে রেখে সেটি করতে হয়। তবে খোলা আকাশের নিচে এভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিংবা মূল্যায়ন করা হলে পণ্যের গুণগত মান অনেকটাই নষ্ট হয়।
তারা আরও জানান, গত কয়েকদিন আগে একটি জিরার চালান পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিংবা মূল্যায়নের নামে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রেখে চলে যায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এতে করে জিরাগুলো বৃষ্টির পানিতে ভিজে যায়। ফলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের দাবি, গুদাম থেকে পচা গম অপসারণ করে আমদানিকৃত পণ্যের জন্য গুদামটিকে প্রস্তুত যেন রাখা হয়।
অসন্তোষ প্রকাশ করে তারা জানান, এ বিষয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোনও প্রকার প্রতিকার হচ্ছে না। এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।
এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তার কক্ষে অবস্থানরত কাস্টমসের সহকারী কমিশনার রিমা আক্তারের কাছে জানার চেষ্টা করা হলে, আগে থেকে ইন্টারভিউ নেওয়ার অনুমতি না নেওয়ার অজুহাতে তিনি বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।