জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর ও শিক্ষক লাঞ্ছনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগ ঘরানার শিক্ষকরা।এদিকে মিছিলের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নিচে দেওয়ায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে জাতির পিতাকে অবমাননা করা হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ চত্ত্বর থেকে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’র ব্যানারে মিছিলটি বের হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি শহীদ মিনার, প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে নতুন কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
দেখা গেছে, মিছিলের ব্যবহৃত ব্যানারের ডান দিকে নিচের অংশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবিকে ছোট আকারে প্রায় সংযুক্ত করে স্থান দেওয়া হয়েছে। বাম দিকের নিচের অংশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। মিছিলে ব্যানারের কোণা ধরে যখন সামনের সারিতে থাকা এক শিক্ষক হাঁটছিলেন তখন তার পায়ে লেগে বঙ্গবন্ধুর ছবির অংশটি বারবার উঁচু হয়ে যাচ্ছিল।
এ রকম একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহারের মাধ্যমে যেভাবে অবমাননা করা হয়েছে তা গর্হিত কাজ। আমরা এ ঘটনার ধিক্কার জানাই। এর জন্য তাদেরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ব্যানার-পোস্টারে বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ রকম ভুল অনাকাঙ্ক্ষিত। যারা ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন তাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এবং ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমির হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
/বিএল/