X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

মানিকগঞ্জে যমুনা নদীর ভাঙনের মুখে বাচামারা প্রাথমিক বিদ্যালয়

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
২০ মে ২০১৮, ১৮:১৭আপডেট : ২০ মে ২০১৮, ১৯:১৪

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে নদী ভাঙনের শিকার বাচামারা প্রাথমিক বিদ্যালয় মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুরে যমুনার তীরবর্তী বাচামারা ইউনিয়নের ৪৪নং বাচামারা উত্তরখণ্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যেকোনও সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। যে স্কুলটি বৃহস্পতিবারও হাজারো শিক্ষার্থীর কলকাকলিতে মুখরিত ছিল, সেই স্কুলটি যেকোনও মুহূর্তে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মামুন হাওলাদার জানান, প্রায় অর্ধশত বছরের পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি রক্ষার আর কোনও সুযোগ নেই। ভাঙনের যে অবস্থা তাতে স্কুলটি রক্ষায় কোনও পদক্ষেপই নেওয়া সম্ভব নয়।’

তিনি জানান, ‘যমুনা নদীর ভাঙন থেকে বাচামরা এলাকাকে রক্ষা করতে ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যা চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

৪৪নং বাচামরা উত্তরখণ্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিক্তা আক্তার জানান, ‘তিন বছর ধরে বিদ্যালয়টি ভাঙনের আশঙ্কার কথা জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার চিঠি লেখা হলেও তারা ভাঙন রোধ কিংবা ভবন স্থানান্তরের কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এখন বিদ্যালয়টি রক্ষাসহ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

প্রধান শিক্ষক রিক্তা আক্তার আরও জানান, ১৯৬৯ সালে স্থাপিত এ বিদ্যালয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয়ে করে দ্বিতল ভবন করা হয়েছিল। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করে।

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. শহিদ মোল্লা জানান, গত বর্ষায়ও বিদ্যালয়টি হুমকির মুখে ছিল। তখন বিদ্যালয়টি স্থানান্তর ও ভাঙনরোধের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রেজুলেশন আকারে দেওয়া হয়েছিল। জনপ্রতিনিধিদের কাছেও আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

তিনি ক্ষোভের সঙ্গে জানান, যদি সময় মতো পদক্ষেপ নেওয়া হতো তাহলে শিক্ষার্থীদের ও ভবনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকতো না। যমুনায় ঝুলে আছে বিদ্যালয়ের নতুন দ্বিতল ভবনটি।

বাচামরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ জানান, জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেললে স্কুলের ভবনটি রক্ষা সম্ভব। এই এলাকাটির ভাঙন ঠেকাতে সাড়ে ৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড, যা হেড অফিসে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এরইমধ্যে ২০/২৫ একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

দৌলতপুর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল বারেকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান, স্কুলের দ্বিতন ভবনটি নিলামের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় মসজিদের সভাপতি ইউছুব আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তাদের টিনের নির্মিত মসজিদটি ভাঙন থেকে রক্ষায় স্থানীয়দের সহায়তায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভাঙনের তীব্রতা থেকে মসজিদ রক্ষা করতে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে পারেনি এলাকাবাসী। মসজিদ রক্ষার জন্য সবাই মিলে টিন বেড়া খুলে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়েছে। ওই মসজিদের ইমাম হাফিজ উদ্দিনও একই কথা জানালেন।

স্থানীয় হাইস্কুলের শিক্ষক হারুনার রশিদ দুলাল জানালেন, এর আগে ১৯৮৮ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রথমে ভাঙনের কবলে পড়ে।

/জেবি/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
জোড়া আঘাতে হায়দরাবাদকে গুটিয়ে চেন্নাইয়ের জয় রাঙালেন মোস্তাফিজ
জোড়া আঘাতে হায়দরাবাদকে গুটিয়ে চেন্নাইয়ের জয় রাঙালেন মোস্তাফিজ
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ