টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক খামারির প্রায় ১১শ’ হাঁস বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৪ আগস্ট) বিকালে জেলার মধুপুর পৌরসভার দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, করোনার কারণে চাকরি হারিয়ে মধুপুর পৌরসভার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা চাচাতো ভাই আরিফুল ইসলাম ও আল আমিন এবং তাদের আরেক চাচা শাহ জামাল হাঁসের খামার করেন। তারা তিন লাখ টাকা ধার করে খাকি ক্যাম্বেল জাতের ১১শ’ হাঁস নিয়ে খামারটি শুরু করেন। ভালোভাবেই চলছিল তাদের খামারটি। কিন্তু ৫১ দিন বয়সী এই হাঁসগুলোর সোমবার সকাল থেকে একের পর এক মৃত্যু হতে থাকে। সন্ধ্যা পর্যন্ত খামারের এক হাজার ৫০টি হাঁসের মৃত্যু হয়েছে বলে খামারিরা জানান। তাদের অভিযোগ, শত্রুতা করে কেউ খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হাঁসগুলো মেরে ফেলেছে। এদিকে খবর পেয়ে মধুপুর থানার পুলিশ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
খামারি আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার কারণে আমার ও চাচাতো ভাইয়ের চাকরি চলে যায়। পরে আমরা দুজনে এক চাচাকে সঙ্গে নিয়ে হাঁসের খামারটি করি। রবিবার (২৩ আগস্ট) রাতে হাঁসগুলো ভালোই ছিল। সকালে একের পর এক হাঁসের মৃত্যু হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শত্রুতার জের ধরে কেউ খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়েছে। এ কারণে হাঁসগুলোর মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে কয়েকটি মৃত ও জীবিত হাঁস উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্মকর্তারা বিষ খেয়ে হাঁসের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। নিশ্চিত হওয়ার জন্য তারা হাঁসগুলো ঢাকায় পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
উপজেলা ভ্যাটেরনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (বিএফএ) ওবাইদুল্লাহ লিটন বলেন, ‘শুরু থেকে খামারিদের পরামর্শ দিয়ে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। সোমবার সকালে জানতে পারি হাঁসগুলোর মৃত্যু হয়েছে। পরে খামারি আরিফুল হাঁস নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে আসেন। সেখানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হারুন অর রশীদের উপস্থিতিতে মৃত হাঁস চিরে বিষক্রিয়ার লক্ষণ পাওয়া যায়। এছাড়াও টক্সিন সমস্যায়ও এমন হতে পারে। আমরা কনফার্ম হওয়ার জন্য কয়েকটি হাঁস ঢাকায় পাঠিয়েছি।’
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত চলছে।’