X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

৩৯তম স্প্যান বসতে পারে কাল, রইবে বাকি ২

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
২৬ নভেম্বর ২০২০, ১৯:২৫আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১৯:২৯

৩৯তম স্প্যান বসতে পারে কাল, রইবে বাকি ২ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পদ্মা সেতুর ৩৯তম স্প্যান বসতে পারে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর)। এরপর বাকি থাকবে আর মাত্র দুইটি স্প্যান। এতে ছয় হাজার ১৫০ মিটার সেতুটির পাঁচ হাজার ৮৫০ মিটার দৃশ্যমান হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের সেতুর ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হবে ‘টু-ডি’ স্প্যানটি। ৩৮তম স্প্যান বসানোর মাত্র ছয় দিনের মাথায় এই স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু করে প্রকৌশলীরা।

শুক্রবার সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ‘তিয়ান-ই’ নামের ভাসমান ক্রেনটি বহন করবে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটিকে। কুয়াশাসহ আবহাওয়া পরিস্থিতি বাধা না হয়ে দাঁড়ালে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে রওনা করবে এটি। এরপর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় নিয়ে নির্ধারিত দুই পিলারের কাছে পৌঁছানোর কথা আছে।

পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী সূত্র জানিয়েছে, স্প্যানটিকে নির্ধারিত পিলারের কাছে নিয়া আসা, মূল নদীতে ভাসমান ক্রেনের নোঙর, পজিশনিং, এরপর পিলারের উচ্চতায় স্প্যানটিকে তোলা ও বেয়ারিং এর ওপর রাখার ধাপগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করা গেলেই কার্যক্রম শেষ হবে।

এদিকে, ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের আশেপাশে চলাচলকারী নৌযানগুলো যাতে স্প্যান বসানোর কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত না করে সেই জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এরজন্য ওইদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি বোট সার্বক্ষণিক সেখানে অবস্থান করবে।

প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, গত মাসেও টার্গেট অনুযায়ী চারটি স্প্যান বসানো হয় সেতুতে। আর ৩৯তম স্প্যানটি বসানো গেলে এই মাসেও চারটি স্প্যান বসানোর টার্গেট সম্পন্ন হবে। ২ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর পিলারে ৪০তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) বসানোর পরিকল্পনা আছে প্রকৌশলীদের। চলতি বছরের বিজয় দিবসের আগেই মাওয়া প্রান্তে ৪১তম স্প্যানটি বসার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানো হয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

/এনএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সবসময় সবাইকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না: রাজ্জাক
সবসময় সবাইকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না: রাজ্জাক
কলিম শরাফীর জন্মশতবার্ষিকীতে শর্মিলার অ্যালবাম
কলিম শরাফীর জন্মশতবার্ষিকীতে শর্মিলার অ্যালবাম
উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিলেন সাকিব
উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিলেন সাকিব
কুড়িগ্রামের তিন উপজেলায় ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে
কুড়িগ্রামের তিন উপজেলায় ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ