টাঙ্গাইলে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে ঠেকাতে ঘটনাস্থলে হাজির হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় প্রতারণা করে ওই স্কুলছাত্রীকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির না করে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে কনে হিসেবে দেখানো হয়। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা ও তালাকপ্রাপ্ত ওই নারীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রানুয়ারা খাতুন।
শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউএনও রানুয়ারা খাতুন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাতে টাঙ্গাইল পৌরসভার কাগমারা এলাকায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল পৌরসভার কাগমারা এলাকার এক ষষ্ঠ শ্রেণি ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়। এমন তথ্য পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউএনও ওই বাড়িতে উপস্থিত হন। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে হাজির করা হয়। ওই নারী দাবি করেন, তারই বিয়ে হচ্ছে। পরবর্তী ম্যাজিস্ট্রেট তার বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর বিয়ের আয়োজন শুরু হয়। এতে পুনরায় খোঁজখবর নেন ইউএনও। পরে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রীর বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পুনরায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় মেয়ের বাবাকে সাত এবং কনে সাজা তালাকপ্রাপ্ত নারীকে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ধরেরবাড়ি মুসলিম হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার ইউএনও ওই ছাত্রীর বয়স সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল। পরে বিদ্যালয়ের ভর্তি রেজিস্ট্রার অনুযায়ী ছাত্রীর তথ্য দেওয়া হয়।’
ইউএনও রানুয়ারা খাতুন বলেন, ‘প্রথমে তারা একজন তালাকপ্রাপ্ত মেয়েকে হাজির করে বলেন- তার বিয়ে হচ্ছে। পরে তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে চলে আসি। কিন্তু আবারও খবর পাই, তারা প্রতারণা করেছে। পরে আবারও বিয়ে বাড়িতে হাজির হই। তবে খবর পেয়ে বর পক্ষ বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়নি। মেয়ের বাবা মেয়েকে বাল্যবিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা দেয়। বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় মেয়ের বাবাকে সাত ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় তালাকপ্রাপ্ত ওই নারীকে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’