X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাঙ্গির বাম্পার ফলন, ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা

ফরিদপুর প্রতিনিধি
১১ এপ্রিল ২০২২, ১১:৩৩আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২২, ১৩:১৫

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় এ বছর ৮৯১ হেক্টর জমিতে লালমি ও বাঙ্গির চাষ হয়েছে। বাজারে এসব ফলের দামও ভালো। অন্যান্য বছর বাঙ্গির কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ হলেও এবার খুশি চাষিরা।

রমজান মাসকে সামনে রেখে প্রতিবছর উপজেলায় বাঙ্গি ও লালমির চাষ করা হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহর ও হাট-বাজারে যায় এই ফল। প্রতিদিন উপজেলার বাজার থেকে শত শত ট্রাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হচ্ছে বাঙ্গি।    

উপজেলার প্রধান বাঙ্গির বাজার কাটাখালী, বাধানোঘাট ও নতুন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই চাষিরা তাদের বাঙ্গি, লালমি নিয়ে আসছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছেন বাঙ্গি কিনতে। প্রকার ভেদে একশ’ বাঙ্গি তিন হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

স্থানীয় চাষি রাশেদ শেখ বলেন, এক বিঘা (৫২ শতাংশ) জমিতে বাঙ্গি ও লালমি চাষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এ বছর এক বিঘা জমিতে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাঙ্গি তোলার পর সেই জমিতে ধান চাষ করা যায়। একই জমিতে দুই ধরনের ফসল চাষ করতে পেরে আমরা বেশ লাভবান হচ্ছি।

কৃষ্ণপুর গ্রামের চাষি জুলহাস শেখ জানান, ৭৮ শতাংশ জমিতে বাঙ্গি চাষ করতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। রোজার শেষ পর্যন্ত বাজারে চলমান দাম থাকলে প্রায় এক লাখ টাকা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।

কাটাখালী বাজারের বাঙ্গি ব্যবসায়ী শেখ সামাদ জানান, স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায় এই বাজারের বাঙ্গি। বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসেন। এ বছর বাঙ্গির দাম ভালো। প্রকার ভেদে একশ’ বাঙ্গি তিন হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার দোহার থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বলেন, রোজার সময় প্রতিবছরই এখানে আসি বাঙ্গি কিনতে। এখান থেকে বাঙ্গি, লালমি কিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করি। একশ বাঙ্গি চার হাজার টাকায় কিনেছি, আবার একটু বড় আকারের একশ কিনেছি ছয় হাজার টাকায়।

সদরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় জানান, রোজার মৌসুমে উপজেলায় ৮৯১ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি ও লালমি চাষ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। বাঙ্গি তোলার পর ধান চাষ করা যায় ওই জমিতে। একই জমিতে দুই ধরনের ফসল চাষ করতে পারায় চাষিরা বেশি লাভবান হচ্ছেন।

/আরকে/এসএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বঙ্গোপসাগরে ডুবলো জাহাজ, ভাসছেন ১২ নাবিক
বঙ্গোপসাগরে ডুবলো জাহাজ, ভাসছেন ১২ নাবিক
মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ ইসির
মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ ইসির
ভারতের একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৬
ভারতের একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৬
কুষ্টিয়ার তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কুষ্টিয়ার তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের