X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

যে গাছ ছাড়া খাইটা হয় না

ফরিদপুর প্রতিনিধি
০৯ জুলাই ২০২২, ১৪:৩১আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২২, ১৭:৩৯

কোরবানির পশুর মাংস কাটাকাটির কাজে ছুরি ও চাপাতির সঙ্গে আরেকটা জিনিসের দরকার পড়ে। গাছের শক্ত গুঁড়ি কেটে বানানো গোলাকার বস্তুটির নাম খাইটা। ফরিদপুরের বাজারে এবার খাইটা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।

এই খাইটা বিক্রি করেই এক মৌসুমে ভালো উপার্জন করেন অনেকে। তবে ঈদুল আজহায় যেনতেন গুঁড়ি বিক্রি হলেও পেশাদার কসাইদের কাজে ব্যবহৃত খাইটার দাম আরও বেশি।

শহরের রেলস্টেশন সড়কের প্রবেশমুখে দেখা গেলো খাইটার বিশাল বাজার। সেখানে খাইটা সাজিয়েছেন চা দোকানি জাফর শেখ। তিনি জানালেন, পাহাড়ি এলাকা থেকে আনা তেঁতুল গাছের গুঁড়ি গোল করে কেটে তিনি নিজেই খাইটাগুলো বানিয়েছেন।

জাফর শেখ আরও বললেন, খাইটা বানাতে তেঁতুল কিংবা বেল গাছের গোটা গুঁড়ি হলে ভালো। তবে বেল গাছ তেমন পাওয়া যায় না। তাই এ কাজে এখন তেঁতুল গাছের চাহিদাই বেশি। এমনকি সমতলের চেয়ে পাহাড়ি অঞ্চলের তেঁতুলের গুঁড়িই নাকি সহজলভ্য, দামেও কম।

পশুর হাড় কাটতে চাপাতি দিয়ে জোরালো কোপ দিতে হয়। অন্যান্য গাছ দিয়ে বানানো গুঁড়ি ওই আঘাত সহ্য করতে পারে না। আবার অনেক সময় অন্য কাঠের খাইটার গুঁড়ি থেকে কাঠের টুকরো মাংসে লেগে থাকে।

শহরের পূর্ব খাবাসপুরের কসাই রাজা জানান, সারা বছরই খাইটা ব্যবহার করতে হয় তাদের। তাদেরটা আকারে বড় ও মজবুত হয়। তারা যেটা ব্যবহার করেন সেটার দাম হাজার টাকারও বেশি।

মধুখালীর মেগচামির আবুল কালাম বিশ্বাস নামের একজন কসাই জানান, একটি গরু কাটার কাজে তিনি প্রতি ১০ হাজারে (গরুর দাম) ২৫০ টাকা মজুরি নেন। সেই হিসাবে এক লাখ টাকা দামের একটি গরুর জন্য দিতে হয় আড়াই হাজার টাকা।

তবে অনেকে নিজেদের কোরবানি দেওয়া পশুর হাড়-মাংস কাটার কাজ নিজেরাই করেন। তাতেও অবশ্য খাইটার দরকার পড়ে। তাই শেষ মুহূর্তের বাজারে পশুর পাশাপাশি এ অনুষঙ্গটি বিক্রিতেও হিড়িক পড়ে।

খাইটা কিনতে আসা রহিম শেখ বলেন, বছরে একদিনের জন্য এ খাইটা কিনতে আসা। প্রতিবছরই একটা করে কিনি। আগের বছরেরটা অযত্নে নষ্ট হয়ে যায়। এবার দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে, কিন্তু কোরবানির সময় দাম তো একটু বেশি হবেই। এটা তো আর সবসময় পাওয়া যায় না।

/এফএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
যাত্রী কল্যাণ সমিতিঈদুল আজহায় ২৭৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৯৯, আহত ৫৪৪
রাজধানীর ফাঁকা রাস্তায় যাত্রীদের স্বস্তি
চাপ নেই কর্মস্থলে ফেরার, এখনও গ্রামে ফিরছে মানুষ
সর্বশেষ খবর
ইউক্রেনের অন্তত ৭টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম প্রয়োজন: ন্যাটোকে জেলেনস্কি
ইউক্রেনের অন্তত ৭টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম প্রয়োজন: ন্যাটোকে জেলেনস্কি
শিশু হাসপাতালে তিন দিনের ব্যবধানে দুবার আগুন!
শিশু হাসপাতালে তিন দিনের ব্যবধানে দুবার আগুন!
ব্যাংককে চীনের দাবাড়ুকে হারালেন মনন
ব্যাংককে চীনের দাবাড়ুকে হারালেন মনন
ব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
এনার্জি মাস্টার প্ল্যান সংশোধনের দাবিব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
সর্বাধিক পঠিত
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান