পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে যুবদল কর্মী শহিদুল ইসলাম শাওনের মৃত্যুর ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ সদরের আমলি আদালতে হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজ উল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব ও সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামানসহ ৯ পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জন পুলিশ সদস্য ও ২০০-৩০০ জন অজ্ঞাত উল্লেখ করে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২ ও ৩৪ ধারায় এই অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তার শুনানি শেষে আদেশের দেওয়ার জন্য অভিযোগটি অপেক্ষমাণ রেখেছেন।
না.গঞ্জে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়ী করে হত্যা মামলা
মুন্সিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ওসি মোহাম্মদ জামাল হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানি হয়েছে। বিচারক অভিযোগটি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তিন নেতাকর্মী নিহতের প্রতিবাদে মুন্সিগঞ্জ শহরের অদূরে মুক্তারপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা বিএনপি। বেলা ৩টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। এ সময় গুলিতে শাওন গুরুতর আহত হন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এরপর থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে ২২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
যুবদলকর্মী নিহতের ঘটনায় রিজভীর মামলার আবেদন খারিজ
শাওন মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা এলাকার তোয়াব আলীর ছেলে। পরিবারে দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। মুক্তারপুর ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী ছিলেন শাওন। পেশায় তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক।
/টিটি/