সাভারের একটি অনুমোদনহীন সিলিন্ডার মজুত ও রিফিল কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শিশুসহ পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১৩ মে) সকালে আশুলিয়ার তেঁতুলতলা এলাকার বিল্লালের কারখানায় ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডম সংলগ্ন তেঁতুলতলা এলাকার অবৈধ গ্যাস রিফিল ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন (৩০), তার কর্মচারী শরিফুল ইসলাম (২৫), শরিফুল হোসেনের ছেলে সোহাগ (৯), নুরনবী (২৮) ও মাহলাম (২৬)।
স্থানীয়রা জানান, ওই কারখানায় বিল্লাল নামের এক অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্যাসের খালি সিলিন্ডার সংগ্রহ করতেন। পরে ৪৫ লিটার গ্যাসের বড় সিলিন্ডার থেকে খালি সিলিন্ডারে বালু ও পানি ভরিয়ে গ্যাস রিফিল করতেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে গ্যাস রিফিল করছিলেন। এ সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হলে নিমিষেই চারদিকে আগুন ধরে যায়। এই আগুনে দগ্ধ হয় শিশুসহ পাঁচ জন।
এ বিষয়ে অবৈধ গ্যাস রিফিল কারখানার মালিক বিল্লালের সঙ্গে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. ওয়ালি উল্লাহ জানান, সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ওই টিনশেড গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় আমরা প্রথমে শিশুসহ দুজন দগ্ধের খবর পাই। পরে আরও দুজন দগ্ধের খবর পেয়েছি। আমরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই তাদের হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা। এ ছাড়াও এই কারখানার অনুমোদন ছিল না। এমনকি ফায়ার সার্ভিসের সনদ ছাড়াই তারা অবৈধভাবে এখানে সিলিন্ডার মজুত করে রেখেছিল।
নারী ও শিশু হাসপাতালের ব্যবস্থাপক হারুন অর রশিদ জানান, শিশুসহ পাঁচ জনকে তাদের হাসপাতালে আনা হয়। তবে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।