মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে গার্মেন্টকর্মীকে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় আলমগীর হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল আসামির উপস্থিতে এই রায় দেন। দণ্ডিত আলমগীর হোসেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের সমেতপুর এলাকার মৃত বাহাদুর শেখের ছেলে। পেশায় ব্যবসায়ী।
এজাহারপত্র থেকে জানা গেছে, বিয়ের আশ্বাসে এক গার্মেন্টকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে ভুয়া বিয়ের মাধ্যমে ধর্ষণ করে। এরপর বিয়ের নামে প্রতারণা ও কাগজপত্র ভুয়ার বিষয়টি জানতে পেয়ে ওই গার্মেন্টকর্মী ২০১৬ সালের ৩১ মে মানিকগঞ্জ আদালতে মামলা করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আবু তালেব ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মামলায় যুক্তিতর্ক শেষে আট জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেন।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি এ কে এম নুরুল হুদা রুবেল সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, জরিমানার ছয় লাখ টাকা ভুক্তভোগীকে দিতে বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আজিজুল হক উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন।