গাজীপুরের শ্রীপুরে সাদ-সান টেক্সটাইল কারখানার উৎপাদন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ শুভর (২৬) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ইশতিয়াক আহমেদ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামের মৃত রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিন খানের বাড়িতে ভাড়া থেকে ওই কারখানায় চাকরি করতেন।
নিহতের স্ত্রী শোভা বলেন, আমার স্বামী তার কর্মস্থল থেকে নিয়মিত বেতন পেতো না। তাছাড়া যে বেতন পেতো তা দিয়ে সংসারে অভাব লেগেই থাকতো। এসব টেনশনে সে প্রায়ই চিন্তিত থাকতো এবং বলতো অনিয়মিত বেতনে চাকরি করতে ইচ্ছে করে না। যেদিক চোখ যাই সেদিকে চলে যেতে ইচ্ছে করে। এসব টেনশন মাথায় না নেওয়ার জন্য তাকে প্রায়ই বোঝাতাম। সোমবার (২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় অফিস থেকে বাসায় ফিরে রাতে খাওয়ার সময় এসব বিষয়ে আমার সঙ্গে শেয়ার করতেছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি ওয়াশরুমে গেলে সে বাইর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে ডাকাডাকি করার পর সাড়াশব্দ না পেয়ে ওয়াশ রুমের ভেন্টিলেটরের কাছে গিয়ে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। তারা ওয়াশরুমের দরজা দিলে স্বামীকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই।
নিহতের মামা জিয়াউর রহমান বলেন, শুভ এবং আমি একই কারখানায় চাকরি করি। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে তার স্ত্রী আমাকে কল করে জানায়, শুভ আত্মহত্যা করেছে। পরে তাদের বাসায় গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে শুভকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই।
শ্রীপুর থানার এসআই সুজন কুমার পন্ডিত বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।