নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘একসময় পাটের ঐতিহ্য ছিল নারায়ণগঞ্জে। সেই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে এটাকে জিআইভুক্ত করার জন্য বলেছি। সবকিছুর কাজ দ্রুত চলছে। তবে কেউ যদি মনে করেন, দুই মাসের মধ্যে সবকিছু আলাদিনের চেরাগের মতো চকচক করবে, সেটি সম্ভব নয়। প্রত্যেকটি সেক্টরে অনেকগুলো জঞ্জাল তৈরি হয়েছে। জঞ্জাল ছুটাতে ছুটাতে এই কয়েক মাস লেগে গেলো। এখনও পুরোপুরি ছুটেছে বলে আমি মনে করি না। তবে আমি আশাবাদী আমার মন্ত্রণালয়ে ভালো কিছু হবে।’
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড ওয়ার্কশপ ও ডিইপিটিসিতে বিশ্বব্যাংক প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
পাটের ব্যাগ পুনরায় চালুর প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা পাটের ব্যাগ পুনরায় চালুর কথা বলেছি। ধীরে ধীরে সেটিও হবে। এতে প্রান্তিক চাষিরা সুফল পাবেন। আশা করি, আগামীতে পাটের দাম বাড়বে।’
নদী দখলমুক্ত করা বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নদী দখলমুক্ত হবে। এখানে সুন্দর ওয়াকওয়ে হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো এখানে চুরি-চামারি হয়েছে কিনা? হয়ে থাকলে হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে যেন না হয়, সেটি নিশ্চিত করা আমাদের কাজ। নদীপথে বেশি কিছু অনিয়ম ছিল। এগুলো আমরা ধীরে ধীরে দূর করার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া নদীর দখলমুক্ত করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন চারটি সি-ট্রাক তৈরির কাজ চলছে। আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা সরকারি কোনও কিছু চলতে দেয়নি। প্রাইভেট সি-পোর্ট চালিয়েছে। তখন মানুষের দুর্ভোগ হয়েছে। বেশি টাকা দিয়ে যাত্রী পারাপার করতে হতো। আমরা এখন চেষ্টা করছি, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ হলো সন্দ্বীপ, এটার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে। আমাদের লক্ষ্য সন্দ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগ জেটি করা। ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুর দিকে এই ফেরিগুলো নামবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ অব নেভাল স্টাফের রিয়ার অ্যাডমিরাল খন্দকার আকতার হোসাইন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম, উপসচিব কাজী আরিফ বিল্লাহ, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার বণিক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা প্রমুখ।