ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাওয়ায় রাজধানী ঢাকা থেকে নিজ গন্তব্যে ছুটতে শুরু করেছে মানুষ। এ কারণে শুক্রবার ভোর থেকে ‘দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ’ হিসেবে খ্যাত ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দূরপাল্লার যানবাহনের চাপ বাড়ে। তবে আজ শনিবার (২৯ মার্চ) ভোর থেকে ওই মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ কমে এসেছে।
ঢাকা-মাওয়া ও ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ৫৫ কিলোমিটারজুড়ে কোনও যানজট না থাকায় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পেরে আনন্দিত যাত্রীরা।
স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ওই মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়েও ছুটছে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। তবে আধুনিক এই মহাসড়কের কোথাও কোন যানজট বা বিড়ম্বনা নেই বলে জানিয়েছেন ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা।
গেলো ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতু হয়ে ৩৯ হাজার ৬৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যা থেকে ৪ কোটি ২৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোলা প্লাজায় দক্ষিণবঙ্গের যানবাহনগুলো দ্রুত টোল দিয়ে নির্বিঘ্নে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছে।
এদিকে আজও দুই চাকার বাহন মোটরসাইকেলে করে অসংখ্য মানুষকে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে দেখা গেছে। কিছুটা ঝুঁকি থাকলেও মোটরসাইকেল নিয়েই বরাবরের মতো ছুটতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন অনেকে।
পদ্মা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়াদ জানান, এবারে ঈদযাত্রা এই মহাসড়কে একেবারেই নির্বিঘ্ন। এ ছাড়া পদ্মা সেতু টোল প্লাজায় দ্রুত টোল আদায়ের জন্য ৭টি নিরবচ্ছিন্ন বুথ সচল রাখা হয়েছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতু হয়ে ৩৯ হাজার ৬৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যা থেকে ৪ কোটি ২৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।