X
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
২৩ আষাঢ় ১৪৩২

পাঠাগার থেকে লুট হওয়া সেই ৪০০ বই ফেরত পেলো কর্তৃপক্ষ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৪৯আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৪৯

টঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে লুট হওয়া অভয়ারণ্য পাঠাগারের ৪০০ বই ফেরত দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। এর আগে পাঠাগার থে‌কে লুট হওয়া বই নি‌য়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনসহ বি‌ভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই প্রশাসন বই ফেরতের উদ্যোগ নেয়। রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকল বইপুস্তক পাঠাগারে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

এ সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং পাঠাগারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন মাহমুদের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ হলরুমে টানা দুই ঘণ্টাব্যাপী সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপ‌জেলা সহকা‌রী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) সা‌য়েম ইমরান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শহিদুল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খায়রুল মুন্সি, উপজেলা জামায়াতের আমির মিজানুর রহমান, অভয়ারণ্য পাঠাগারের সভাপতি সুপ্তি মিত্র, সম্পাদক সঞ্জয় চন্দ্র ঘোষ, ইসলামী খেলাফত মজলিশের নেতা গোলাম রব্বানী এবং স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। বৈঠকে কোনও নিষিদ্ধঘোষিত বই বা নাস্তিক্যবাদ প্রচারের বইপুস্তক পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রা‌তে ধনবাড়ী উপজেলার বাঁশহাটি মহল্লার অভয়ারণ্য পাঠাগারের চারশ বই লুট এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে পাঠাগার বন্ধের ঘটনা ঘ‌টে।

অভয়ারণ্য পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছে। ওনারা আমাদের কাছে ভুল স্বীকার করেছেন। আমরাও তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করে সকল কিছুর সমাধান করি। পাঠাগার একটি পবিত্র স্থান। জ্ঞানবিজ্ঞান ও ধর্মচর্চার জন্য সব ধরনের বইয়ের সমাহার থাকবে। ওনারা আমাদের লুট হওয়া ৪ থেকে ৫ বস্তা বই ফেরত দিয়েছেন।’

ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন মাহমুদ বলেন, ‘উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা হয়েছে। সভায় উভয়পক্ষই ভবিষ্যতে পাশাপাশি থেকে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পরে অভয়ারণ্য পাঠাগারে গিয়ে সকলের উপস্থিতিতে বইগুলো কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ইসলামী যুব খেলাফত মজলিশ ধনবাড়ী উপজেলা শাখার নেতা গোলাম রব্বানী কয়েকদিন আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ঘোষণা দেন, ধনবাড়ী অভয়ারণ্য পাঠাগার নাস্তিকদের কারখানা। সেখানে নিষিদ্ধঘোষিত বইপুস্তক রয়েছে। এ পাঠাগারকে উচ্ছেদ করা হবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এরই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক পাঠাগারে প্রবেশ করে পাঠকদের ধমকিয়ে বের করে দেয়। পরে আলমারি থেকে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কবি নজরুল ইসলাম, হুমায়ুন আহমেদ, হুমায়ুন আজাদ, ড. জাফর ইকবালসহ দেশ-বিদেশের প্রতিষ্ঠিত লেখকদের পাঁচ শতাধিক বই বস্তাবন্দি করে নিয়ে যায়। পরে এসব বস্তাবন্দি বই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) অফিসে রেখে চলে যায় তারা।

/কেএইচটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই সংস্কার শেষ করতে হবে: আখতার হোসেন
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই সংস্কার শেষ করতে হবে: আখতার হোসেন
গণমাধ্যমকে হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে অর্ধশতাধিক সাংবাদিকের বিবৃতি
গণমাধ্যমকে হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে অর্ধশতাধিক সাংবাদিকের বিবৃতি
শেষ ম্যাচ কি খেলতে পারবেন শান্ত?
শেষ ম্যাচ কি খেলতে পারবেন শান্ত?
আমরা মিডিয়ার স্বাধীনতা চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ
আমরা মিডিয়ার স্বাধীনতা চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশে নিজের অনেক ভক্ত জানার পর যা বললেন কেট উইন্সলেট
বাংলাদেশে নিজের অনেক ভক্ত জানার পর যা বললেন কেট উইন্সলেট
প্রসিকিউশন গণহত্যার দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেনি: শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স
প্রসিকিউশন গণহত্যার দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেনি: শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স
‘আ.লীগের সদস্যরা যেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে না পারে’
‘আ.লীগের সদস্যরা যেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে না পারে’
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য সংগ্রহ করেছে মন্ত্রণালয়
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য সংগ্রহ করেছে মন্ত্রণালয়
তিন নেতাকে অব্যাহতি দিলেন জিএম কাদের
তিন নেতাকে অব্যাহতি দিলেন জিএম কাদের