গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মাছের ঘের কাটা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শিশুসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহতদের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, কোটালীপাড়ার বর্ষাপাড়া গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকিরের সঙ্গে একই গ্রামের মোকসেদ আলী ফকিরের দীর্ঘদিন ধরে জমিতে মাছের ঘের কাটা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে শুক্রবার মোকসেদ আলী ফকিরের লোকজন ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকিরের লোকজনকে মারধর করেন। এই মারধরের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির বলেন, বিলে আমার একটি মাছের ঘের কাটা নিয়ে এলাকার মোকসেদ আলী ফকিরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার আমার লোকজন মোকসেদ আলী ফকিরের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তার লোকজন আমার লোকজনকে মারধর করে। আমি লোকজন নিয়ে বাধা দিতে গেলে মোকছেদ আলী ফকিরের লোকজন আমাদের ওপরও হামলা চালায়। হামলায় আমার প্রায় ২৫ জন লোক আহত হয়েছে।
মোকসেদ আলী ফকিরের ছেলে আলামিন ফকির বলেন, ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির কিছুদিন আগে লোকজন নিয়ে জোর করে আমাদের জমিসহ কয়েকজনের জমিতে মাছের ঘের কাটতে ছিল। আমরা বাধা দিলে ঘের কাটা বন্ধ হয়। শুক্রবার ইব্রাহিম ফকির লোকজন নিয়ে আমাদের সেই জমিতে ঘের কাটতে যাওয়া দিলে আমরা বাধা দেই। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ি। সংঘর্ষে আমাদের কয়েকজন লোক আহত হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে ইব্রাহিম ফকিরের বিচার চাই।
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সংঘর্ষের খবর শুনেছি। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, বর্তমানে উক্ত এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষ থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।