যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগরে কপোতাক্ষ নদের পাড় থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ডাকাতির চেষ্টাকালে গণপিটুনিতে তারা নিহত হয়েছেন। এখনও তাদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন, ডাকাতি বা গণপিটুনির বিষয়টি তার জানা নেই।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল ৮টার দিকে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
সুরতহাল তৈরি শেষে লাশ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হবে জানিয়েছেন ঝিকরগাছা থানার এসআই আকরাম হোসেন চৌধুরী। তিনি সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন তিনজনের মাথার সামনে পেছনে এবং কানের আশেপাশে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগর এলাকার কাটাখাল নামক স্থানে তিনটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের একজনের বয়স ৩০-৩২ এবং অপর দুজনের চল্লিশের কাছাকাছি। তাদের প্রত্যেকের পরনে টি শার্ট এবং লুঙি রয়েছে। মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত থাকায় গুলি না ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে- তা বোঝা যাচ্ছে না।
তারা আরও জানান, কাটাখাল এবং কপোতাক্ষ নদের সংযোগস্থলে সম্প্রতি ছোট্ট একটি পার্ক (বঙ্গবন্ধু পার্ক) করা হয়েছে স্থানীয় পৌরসভার উদ্যোগে। এই পার্কের ভেতরে সামান্য দূরত্বে মরদেহগুলো পড়ে ছিল।
সকাল থেকে প্রচুর মানুষ মরদেহগুলো দেখলেও কেউ তাদের পরিচয় জানতে পারেনি।
ঝিকরগাছা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম জানান, গতরাতে তার এলাকায় কোনও ডাকাতি বা গণপিটুনির কথা শোনেননি। সকালে বঙ্গবন্ধু পার্কে তিনজনের লাশ পড়ে রয়েছে শুনে তিনি অন্যদের মতো দেখতে এসেছেন। এই তিনজন তার ওয়ার্ডের লোক নয় বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার ওসি মোল্যা খবির আহমেদ জানান, মঙ্গলবার গভীররাতে ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগর এলাকায় ডাকাতের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করে। তাদের মধ্যে তিনজন ধরা পড়ে এবং গণপিটুনিতে তারা মারা গেছে বলে তিনি শুনেছেন।
যশোর পুলিশের এএসপি ‘ক’ সার্কেল ভাস্কর সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গতরাতে ঝিকরগাছার ওয়াপদাপাড়া এলাকায় ডাকাতির চেষ্টা করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয়দের মারধরে তিনজন নিহত হয়।
আরও পড়তে পারেন:
যানজটে বাড়ছে মুমূর্ষু রোগীর মৃত্যুঝুঁকি
/বিটি/এসটি/