X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

৫০ নম্বরের পরীক্ষায় ৬৩!

মো. আসাদুজ্জামান সরদার, সাতক্ষীরা
২৬ জুলাই ২০১৭, ১৫:৫০আপডেট : ২৬ জুলাই ২০১৭, ১৭:৫৪

সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থীর রেজাল্ট শিট এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলে এক শিক্ষার্থী উচ্চতর গণিত দ্বিতীয়পত্রের রচনামূলক অংশে ৫০ নম্বরের মধ্যে ৬৩ নম্বর পেয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এবং অবাস্তব এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ জুলাই যশোর শিক্ষা বোর্ডে। সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সুদিপ্ত কুমার সরদার নামের এক শিক্ষার্থীর মার্কসশিটে এমন ফল দেখানো হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী এ গ্রেডে (৪.১৭) উত্তীর্ণ হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- সাতক্ষীরা কলারোয়া সরকারি কলেজে ছাত্র সুদিপ্ত কুমার সরদার ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১৭ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নেন। তার রোল নং- ৪০৮৬৩৯, রেজি: নং- ১২১৩৬৭৪০৭০। তার বাবার নাম পূর্ণ চন্দ্র সরদার, মায়ের নাম প্রমিলা রানী সরদার।

গত ২৩ জুলাই বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফলে ওই শিক্ষার্থী উচ্চতর গণিত বিষয়ের দ্বিতীয়পত্রের রচনামূলক (সৃজনশীল) অংশে ৬৩ নম্বর পেয়েছেন। অথচ ওই অংশের মোট নম্বর ৫০। অর্থাৎ ৫০ নম্বরের মধ্যে তিনি ৬৩ নম্বর পেয়েছেন। এছাড়াও মার্কসশিটে দেখানো হয়েছে, নৈর্ব্যক্তিক অংশে ২৫ নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৮ নম্বর এবং ২৫ নম্বরের ব্যবহারিক অংশে পেয়েছেন ২৪ নম্বর। দ্বিতীয়পত্রের ওই ৬৩ নম্বরসহ উচ্চতর গণিতে প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র মিলিয়ে তিনি মোট ১৬৪ নম্বর পেয়েছেন। অর্থাৎ উচ্চতর গণিতে তিনি ‍এ প্লাস পেয়েছেন। নম্বর যোগে কোনও ভুল নেই, কিন্তু তিনি ৫০ নম্বরের মধ্যে ৬৩ নম্বর পেলেন কি করে তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই  মার্কশিটের স্ক্রিনশট প্রকাশিতও হয়েছে। বিষয়টি যাচাই করতে বাংলা ট্রিবিউনের পক্ষ থেকে যশোর শিক্ষাবোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের প্রকাশিত ফলাফলও পরীক্ষা করা হয়। সেখানেও দেখা গেছে একই চিত্র অর্থাৎ উচ্চতর গণিতে ৫০ নম্বরের মধ্যে সুদীপ্ত পেয়েছেন ৬৩!

এ বিষয়ে কলারোয়া সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক শাহনেওয়াজ করিম বলেন, ‘উচ্চতর গণিতের দ্বিতীয়পত্রের মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে রচনামূলক অংশে ৫০ নম্বর, নৈর্ব্যক্তিক অংশে ২৫ ও ব্যবহারিক অংশে ২৫ নম্বর। সেখানে রচনামূলক অংশে ৬৩ নম্বর প্রাপ্তের বিষয়টি বোর্ডের ভুল হয়ে থাকতে পারে।’

সাতক্ষীরা কলারোয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু বলেন, ‘বিষয়টি বোর্ডের এখতিয়ার। এ বিষয়ে তার কোনও বক্তব্য নেই।’

এদিকে, ৫০ নম্বরের মধ্যে ৬৩ নম্বর প্রাপ্তিকে বোর্ড কিংবা সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকের ভুল বলে মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অনেকে। তাদের ধারণা হয়তোবা ৩৬ উল্টে গিয়ে ৬৩ হয়ে থাকতে পারে। তবে ওই বিষয়ে মোট যোগফল করা হয়েছে প্রাপ্ত ৬৩ নম্বর দিয়েই।

/বিএল/টিএন/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কৃষিজমিতে কাজ করতে গিয়ে ঘুরে পড়ে আ.লীগ নেতার মৃত্যু
কৃষিজমিতে কাজ করতে গিয়ে ঘুরে পড়ে আ.লীগ নেতার মৃত্যু
মাঠে ফিরেই হাল্যান্ডের গোলে জিতলো ম্যানসিটি
মাঠে ফিরেই হাল্যান্ডের গোলে জিতলো ম্যানসিটি
জাতীয় দল রেখে ঢাকা লিগে সাকিবের খেলার ব্যাখ্যা দিলেন নির্বাচক
জাতীয় দল রেখে ঢাকা লিগে সাকিবের খেলার ব্যাখ্যা দিলেন নির্বাচক
পাপন শুনেছেন, তামিম নাকি সামনের বছর ফিরবেন!
পাপন শুনেছেন, তামিম নাকি সামনের বছর ফিরবেন!
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক