X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

মাসে ৫ লাখ টাকার ডিম বিক্রি করেন মাহাবুব

সেলিম রেজা, বেনাপোল
১৬ মে ২০২২, ১৯:৪৯আপডেট : ১৬ মে ২০২২, ২০:১৫

ভাগ্যবদলের স্বপ্ন নিয়ে ১৯৯৩ সালে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন মাহাবুবুর রহমান। ২৫ বছর পর দেশে ফেরেন। এরপর বেকার ছিলেন এক বছর। শেষমেশ ইউটিউব দেখে মুরগির খামার দেন। প্রথম বছর সাত লাখ টাকা লোকসান হয়। হতাশ না হয়ে কাজ চালিয়ে যান। পরের বছরই ঘুরে দাঁড়ান। লোকসান কাটিয়ে আলোর মুখ দেখেন। তিন বছরের ব্যবধানে সফল খামারি হিসেবে পরিচিতি পান। 

এখন প্রতিদিন ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকার মুরগির ডিম বিক্রি করেন। এই হিসাবে মাসে পাঁচ লাখ ১০ থেকে পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার টাকার ডিম বিক্রি করেন এই খামারি। মাহাবুবুর রহমান যশোরের শার্শা উপজেলার সুবর্ণখালী গ্রামের মৃত তাবারক মুন্সীর ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৫ বছর মালয়েশিয়ায় থাকার পর ২০১৯ সালে দেশে ফিরে আর্থিক সংকটে পড়েন মাহাবুব। মালয়েশিয়ায় প্রতিদিন ১৯ রিংগিত রোজগার করতেন। ওই টাকা দিয়ে ঠিকমতো সংসার খরচ চলতো না। নতুন কিছু করার ভাবনা নিয়ে দেশে ফেরেন। এক বছর বেকার বসে থাকার পর ইউটিউবে হাঁস-মুরগি পালনের ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হন। সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেন লেয়ার মুরগির খামার দেওয়ার। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজ বাড়ির আঙিনায় পতিত জমিতে শেড তৈরি করেন। সেখানে এক হাজার লেয়ার মুরগি পালন শুরু করেন। প্রথম বছর লোকসানের মুখে পড়েন। পরের বছর লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। 

বর্তমানে তার দুটি মুরগির শেড রয়েছে। সেখানে দুই হাজার ৭০০ মুরগি রয়েছে। এসব মুরগি দিনে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ ডিম দেয়। প্রতি পিস ডিম নয় টাকা দরে বিক্রি করেন মাহাবুব। 

মাহাবুবুর রহমানের খামারে দুই হাজার ৭০০ মুরগি রয়েছে

মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘অনেক চিন্তাভাবনা করে নিজের জমিতে শেড দিয়ে মুরগি পালন শুরু করেছিলাম। বর্তমানে দুটি মুরগির শেড রয়েছে আমার। দুই শেডে দুই হাজার ৭০০ মুরগির জায়গা হয় না। আরও দুটি শেড তৈরির কাজ শুরু করেছি। সেখানে কয়েক দিনের মধ্যে দেড় হাজার লেয়ার মুরগির বাচ্চা পালন শুরু করবো। পাশাপাশি বড় মুরগিগুলো ওই শেডে স্থানান্তর করবো। শেড বাড়ানোর মধ্য দিয়ে খামারটি আরও বড় করবো।’ 

তিনি বলেন, ‘এখন প্রতি মাসে পাঁচ লাখ ১০ থেকে পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার টাকার ডিম বিক্রি করি। প্রথম বছর লোকসান হলেও বর্তমানে অনেক লাভ হচ্ছে আমার। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা ছাড়াই আমি এ পর্যন্ত এসেছি। তবে সহযোগিতা পেলে খামারটি আরও আগেই বড় করতে পারতাম।’

শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুবাইয়াত ফেরদৌস বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খামারি মাহাবুবুর রহমান আমাদের কাছে কোনও সহযোগিতার জন্য আসেননি। খামারিদের আমরা সবসময় সহযোগিতা করি। তিনি আমাদের কাছে এলে সব ধরনের সহযোগিতা করবো।’

/এএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাহিদার চেয়ে বেশি রয়েছে কোরবানিযোগ্য পশু
খামারে আগুন, পুড়ে মারা গেছে ৫০ হাজার মুরগি
গরমে চ্যালেঞ্জের মুখে খামারি ও ব্যাপারীরা
সর্বশেষ খবর
সরকারের জাতীয় ঐকমত্যের উদ্যোগে বাধা একটি দল: জামায়াত সেক্রেটারি
সরকারের জাতীয় ঐকমত্যের উদ্যোগে বাধা একটি দল: জামায়াত সেক্রেটারি
বিচার, সংস্কার এবং নতুন সনদের বাস্তবায়নে জনগণই আমাদের একমাত্র শক্তি: নাহিদ ইসলাম
বিচার, সংস্কার এবং নতুন সনদের বাস্তবায়নে জনগণই আমাদের একমাত্র শক্তি: নাহিদ ইসলাম
কাবরেরার পদত্যাগ চেয়ে নিজেই অপসারিত শাহীন!
কাবরেরার পদত্যাগ চেয়ে নিজেই অপসারিত শাহীন!
‘ভবিষ্যতে আ.লীগ বলে কোনও দল থাকবে না’
‘ভবিষ্যতে আ.লীগ বলে কোনও দল থাকবে না’
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা