বেনাপোল স্থলবন্দর চেকপোস্টের আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালের স্ক্যানার মেশিনটি দুই মাস ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে। এ অবস্থায় যাত্রীদের ব্যাগেজ হাতে তল্লাশি করছেন চেকপোস্টে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। এতে সময় লাগছে বেশি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা।
বেনাপোল কাস্টম চেকপোস্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে যাত্রী টার্মিনালের স্ক্যানার মেশিনটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এটি সচলের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আপাতত যাত্রীদের ব্যাগেজ হাতে তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে এতে সময় বেশি লাগলেও তাদের কিছুই করার নেই।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারতগামী যাত্রীদের ব্যাগেজ চেকিং না হওয়ায় ব্যাগেজ ব্যবসায়ীদের তৎপরতা বেড়েছে। পাচার হচ্ছে ব্যাগেজভর্তি মালামাল। একেক জনের ব্যাগে প্রচুর মালামাল থাকায় হাতে তল্লাশি করতে সময় বেশি লাগছে। অথচ স্ক্যানার মেশিনটি সচল থাকলে কম সময়ে চেকিং শেষ হয়ে যেতো। সেইসঙ্গে অবৈধ মালামাল ধরা পড়তো। এখন অবৈধ মালামাল ধরা না পড়ায় লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন অনেকে। সেইসঙ্গে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেনাপোল দিয়ে ভারতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় চিকিৎসা ও ব্যবসায়িক কাজে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই পথে যাতায়াত করেন। যাত্রী টার্মিনালের স্ক্যানার মেশিনটি দুই মাস ধরে অচল থাকায় এবং তল্লাশি কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় চোরাচালানের আশঙ্কা বাড়ছে।
বেনাপোল কাস্টম কর্তৃপক্ষ জানায়, চেকপোস্টের কাস্টম ভবনে চোরাচালান প্রতিরোধে রয়েছে দুটি স্ক্যানার মেশিন। এর একটি বন্দরের বহির্গমন যাত্রী টার্মিনালে; এটি দিয়ে ভারত যাওয়ার পথে ব্যাগেজ তল্লাশি করা হয়। অপরটি ইনডোর টার্মিনালে; এটি দিয়ে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের ব্যাগেজ তল্লাশি করা হয়। ভারতফেরত যাত্রীদের ব্যাগেজ তল্লাশির স্ক্যানারটি সচল থাকলেও অপরটি অচল হয়ে পড়ে আছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমের রাজস্ব কর্মকর্তা শারমীন জাহান রানু বলেন, ‘অচল স্ক্যানার মেশিনটি সচল করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। শুনেছি, চীন থেকে যন্ত্রপাতি এনে এটি সচল করা হবে। এখনও যন্ত্রপাতি আসেনি। আপাতত যাত্রীদের ব্যাগেজ হাতে চেকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া কিছুই করার নেই।’