বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মুসল্লিরা আসছেন বাংলাদেশে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের মুসল্লিরাও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করছেন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মুসল্লিরা ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। গত তিন দিনে প্রায় ১২০০ মুসল্লি এসেছেন বাংলাদেশে।
তবে এবারের ইজতেমায় যোগ দিতে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক কমসংখ্যক বিদেশি মেহমান বাংলাদেশে আসছেন বলে জানা গেছে। গত কয়েক মৌসুমে এই চেকপোস্ট দিয়ে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার বিদেশি মুসল্লি ইজতেমায় যোগ দিতে আসতেন। কিন্তু চলতি ইজতেমায় শুক্রবার ৯টা পর্যন্ত মাত্র ১২০০ ভারতীয় মুসল্লি এসেছেন বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে।
ইজতেমার দ্বিতীয় দফায় যোগ দিতে আজও কিছু বিদেশি মেহমান আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার দ্বিতীয় পর্বে ঢাকার টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার শেষ পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফজর বাদ আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্বের এ ধর্মীয় মহাসমাবেশ। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব এবং শেষ পর্ব।
ভারতীয় মুসল্লিরা বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে বাস কিংবা ট্রেনযোগে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে যাচ্ছেন। তবে ইমিগ্রেশন এর ভেতরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে দেখা গেছে মুসল্লিদের।
বেনাপোল স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি মেহমানদের অভ্যর্থনা জানানো, থাকা-খাওয়া ও ঢাকায় পাঠানোসহ সব কাজ দ্রুত করার জন্য তাবলিগ জামাতের ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে একটি প্রতিনিধিদল বেনাপোল স্থলবন্দরে অবস্থান করছেন। তারা প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত আগত মুসল্লিদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের পরিদর্শক (তদন্ত) শফিক আহমেদ জানান, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসছেন। এবার খুবই কমসংখ্যক মুসল্লিরা এসেছেন। বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা বিদেশি মেহমানদের দ্রুততার সঙ্গে পাসপোর্টের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনে পৃথক ডেস্ক খোলা হয়েছে। বিদেশি মেহমানদের পুলিশ ইমিগ্রেশন সদস্যরা সেবা দিচ্ছেন। বিদেশি মেহমানদের সেবা করতে পেরে নিজেদের ভালো লাগার কথাও প্রকাশ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।