বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটির’ সমাবেশে আসার পথে বাগেরহাটের মোল্লাহাটে গাড়িবহরে হামলার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হৃদয় ঘরামী বাদী হয়ে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- ফকিরহাটের নওয়াপাড়ার মোস্তাক মুন্সি, উজ্জল সরকার, হানিফ, সাব্বির ও আব্দুর রহমান। মামলায় মোল্লাহাট উপজেলার তিন সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় প্রতিনিধি হৃদয় ঘরামী মামলাটি করেছেন। মামলায় মোল্লাহাট উপজেলার মাদ্রাসাঘাট এলাকার ইমাদ পরিবহনের কাউন্টারের কর্মী কালু ফরাজীকে প্রধান করে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বৃহস্পতিবার বিকালে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকালে খুলনা মহানগর থেকে ‘মার্চ ফর ইউনিটির’ সমাবেশে যোগ দিতে শিক্ষার্থীদের বহনকারী ২৫টি বাস ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। বহরের একটি গাড়ি কিছুটা পেছনে পড়ে যায়। ফকিরহাটের নওয়াপাড়া এলাকা থেকে শুরু করে মোল্লাহাটের পেট্রল পাম্প পর্যন্ত ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস শিক্ষার্থীদের গাড়িকে বারবার চাপ দিচ্ছিল। মোল্লাহাট উপজেলার মাদ্রাসাঘাট এলাকায় শিক্ষার্থীদের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাসটির। এরপর শিক্ষার্থীরা হ্যান্ডমাইকে প্রতিবাদ জানান। তখন তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং গাড়ি থামিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে তাদের বহনকারী সেবা গ্রীন লাইন গাড়িটির কাচ ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষ বাধে। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় খুলনা-মাওয়া মহাসড়কে দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।