সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন খুলনার সুশোভন বাছাড়। রবিবার বিকালে প্রকাশিত ফলাফলে সুশোভন বাছাড় সর্বোচ্চ ৯০ দশমিক ৭৬ পেয়ে প্রথম হয়েছেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত সুশোভন বাছাড় পেয়েছেন ৯০ দশমিক ৭৬। গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ১৯টি কেন্দ্রের একাধিক ভেন্যুতে পরীক্ষা হয়। এ বছর আবেদন জমা পড়েছিল এক লাখ ৩৫ হাজার ২৬১টি। কোটাসহ মোট আসন পাঁচ হাজার ৩৮০টি। হিসাবে একটি আসনের বিপরীতে ২৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এই ভর্তি পরীক্ষায় সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যালে ভর্তির জন্য ৬০ হাজার ৯৫ জন উত্তীর্ণ হন।
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে সুশোভনের গ্রামের বাড়ি। থাকেন খুলনা নগরের আজিজের মোড় এলাকায়। তার বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় খুলনার টিঅ্যান্ডটি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। মা বন্দনা সেন একসময় শিক্ষক ছিলেন। তবে এখন গৃহিণী। সুভাস চন্দ্র ও বন্দনা সেন দম্পতির একমাত্র সন্তান সুশোভন।
সুশোভন টিঅ্যান্ডটি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করেন। ফল প্রকাশের পর থেকে তাদের বাড়িতে আনন্দের বন্যা বইছে। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তাদের বাড়িতে ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসছেন।
সুশোভনের বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় বলেন, ‘আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবে। পরীক্ষা দিয়ে বলেছিল ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পাবে। সেটাই হয়েছে। তবে প্রথম হবে এটা ভাবিনি। তবে চান্স পাবে জানতাম। সন্তানের এমন ফলে আমি খুশি।’
কষ্টের সুফল পেয়েছি অনুভূতি প্রকাশ করে সুশোভন বলেন, ‘ফার্স্ট হওয়া দেখে আমার প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল এটা ভুল। ছোটবেলা থেকেই আমার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে। এই পেশাটাকে আমার অন্যরকম ভালো লাগে। মনে হতো আমি যদি তাদের মতো হতে পারতাম। সেভাবেই পড়াশোনা করি। তবে শিক্ষা জীবনে কখনও কোচিং করিনি। ভর্তি পরীক্ষার জন্য তিন মাস শুধু কোচিং করেছি। কুয়েটে চান্স হয়েছে আমার। আমি মানবিক চিকিৎসক হতে চাই।’
এর আগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় খুলনার মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া মোসলেম মিম প্রথম হয়েছিলেন।