আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সাবেক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ। বুধবার (৩০ এপ্রিল) শহরের বকচর এলাকায় সংগঠনের কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সমিতির নেতাকর্মীদের সামনে তিনি পদত্যাগ করেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ মোহাম্মদ রিজভীর নেতৃত্বে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা জড়ো হন বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে। তারা রিয়াদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের’ সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে রিয়াদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিয়াদকে অপসারণের আল্টিমেটাম দেন তারা।
বুধবার পদত্যাগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে তারা অবস্থান নেন। অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে অফিসের ভেতর থেকে ৮ থেকে ১০ জন অপরিচিত যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থানকারীদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। নেতাকর্মীরা তা প্রতিহত করে এবং শহরের শংকরপুর এলাকার মোহাম্মদ আলী নামে বহিরাগত একজনকে চাকুসহ আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ সময় আরও ২-৩ জন পালিয়ে যায়। এরপর নেতাকর্মীদের তোপের মুখে আরিফুল ইসলাম রিয়াদ পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে সভাপতির কাছে জমা দেন। পরে অবস্থানকারীরা অফিস থেকে আনন্দ মিছিল বের করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের মুখপাত্র ফাহিম আল–ফাত্তাহ বলেন, রিয়াদ আওয়ামী লীগের দোসর। ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের পর তার মতো একজন দোসর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে থাকতে পারেন না। তাই শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি নেয়। আমরা শুনেছি রিয়াদ পদত্যাগ করেছেন।
যশোর মিনিবাস ও বাস মালিক সমিতির সভাপতি মুসলিম আলী বলেছেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রিয়াদ আমার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এ সময় সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে বিষয়টি নিয়ে মিটিং করে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত বলেন, মিনিবাস মালিক সমিতির কার্যালয়ের সামনে চাকুসহ এক বহিরাগত শ্রমিককে শিক্ষার্থীরা আটক করে পুলিশে দেয়। এরপর সেই যুবককে অস্ত্র আইনের মামলায় বিকালে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।