X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেছিলেন জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা

শেরপুর প্রতিনিধি
০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:৫৬আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৩:০০

শেরপুরকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেছিলেন জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ৭ ডিসেম্বর শেরপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্র বাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত করেন। এই দিন মিত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সর্বাধিনায়ক জগজিৎ সিং অরোরা শেরপুর শহীদ দারোগা আলী পৌর পার্ক মাঠে হাজারো জনতার এক স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশে শেরপুরকে মুক্ত বলে ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে তিনি শত্রুমুক্ত শেরপুরে প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পাতাকা উত্তোলন করেন।

শেরপুর সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান ও মুক্তিযোদ্ধা তালাফতুপ হোসেন মঞ্জু’র সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহান  স্বাধীনতা যুদ্ধের ৯ মাসে বর্তমান শেরপুর জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৩০-৪০টি খণ্ডযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এসব যুদ্ধে বিরত্বের সঙ্গে লড়াই করে ৫৯ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পাকিস্তানি হানাদারদের নির্মমতার শিকার হয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে ১৮৭ জন, শেরপুর সদর উপজেলার সূর্যদী গ্রামে ৩৯ জন এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার জগৎপুর গ্রামে ৪১ জনসহ মুক্তিকামীসহ বহু মানুষ শহীদ হন।

১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ব্যাপক শেলিংয়ের মাধ্যমে শেরপুর শহরে প্রবেশ করে ও বিভিন্ন স্থানে ঘাঁটি গড়ে তোলে। শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার আহম্মদনগর উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্নস্থানে গড়ে তোলা ঘাঁটিতে চলে তাদের নারকীয় সব নির্যাতন। এসব ঘাঁটিতে রাজাকার, আলবদর আর দালালদের যোগসাজশে হানাদাররা চালাতে থাকে নরহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের মতো নৃশংসতা। অন্যদিকে স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষণ নিয়ে বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা আঘাত হানতে থাকেন শত্রু শিবিরে।

নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই এ জেলায় শত্রুসেনাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যেতে থাকে। ১১ নং সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহের বেশ ক’বার কামালপুর দুর্গে আক্রমণ চালান। ১১ দিন অবরোধ থাকার পর ৪ ডিসেম্বর এ ঘাঁটির পতন হয়। মোট ২২০ জন পাকিস্তানি সেনা এবং বিপুল সংখ্যক রেঞ্জার, মিলিশিয়া ও রাজাকার বিপুল অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করে। কামালপুর মুক্ত হওয়ার পর হানাদার বাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধারা মিত্র বাহিনীর সহায়তায় শেরপুরে হানাদার বাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে আক্রমণ চালান। কামালপুর দুর্গ দখল হওয়ার প্রায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানি বাহিনীর সব ক্যাম্প ধ্বংস হয়ে যায়। 

মুক্তিযোদ্ধাদের মুহুর্মুহু আক্রমণ ও গুলি বর্ষণের মুখে হানাদাররা ৬ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে জামালপুর পিটিআই ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। এরপর ৭ ডিসেম্বর শত্রু মুক্ত হয় শেরপুর।

 

/এফএস/
সম্পর্কিত
নানা আয়োজনে রাজধানীবাসীর বিজয় উদযাপন
বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা
জাবিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
সর্বশেষ খবর
খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
তৃণমূলের আরও ৬১ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
তৃণমূলের আরও ৬১ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
জমি নিয়ে বিরোধ, বৈদ্যুতিক শকে চাচাতো ভাইকে ‘হত্যা’
জমি নিয়ে বিরোধ, বৈদ্যুতিক শকে চাচাতো ভাইকে ‘হত্যা’
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
বিসিএসে সফলতায় এগিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা
বিসিএসে সফলতায় এগিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা
চট্টগ্রামে যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
চট্টগ্রামে যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ