নেত্রকোনায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পল্লীবিদ্যুতের সকল সঞ্চালন লাইন। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে জেলার ১০টি উপজেলায় হঠাৎ করেই বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করে দেন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার গ্রাহক।
নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আরইবি-পল্লীবিদ্যুৎ একীভূতকরণ এবং অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চলমান রয়েছে। আন্দোলনে জড়িত থাকায় ১০ জন কর্মকর্তার নামে মামলা দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৪ জনকে আজ সকালে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার পল্লীবিদ্যুতের এজিএম মনির হোসেনকেও সকালে গ্রেফতার করা হয়। মূলত এরপর থেকেই নেত্রকোনায় পল্লীবিদ্যুৎসেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জেলা কেন্দুয়া পৌর শহরের আঠারবাড়ি গ্রামের গ্রাহক জুয়েল মিয়া বলেন, ‘তাদের (পল্লীবিদ্যুৎ) আন্দোলন সংগ্রাম যাই চলুক না কেন, কোনোরকম পূর্বঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়াটা ঠিক হয়নি। এতে আমরা গ্রাহকরা চরম দুর্ভোগে পড়ে গেছি।’
নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মাসুম আহমেদ বলেন, ‘পল্লীবিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া না মানায় শাটডাউন চলছে। আজ সকালে বারহাট্টা কার্যালয়ের এজিএমকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে আমাদের ডেকেছেন। ওনার সঙ্গে সভা শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘পুলিশ বারহাট্টা পল্লীবিদ্যুতের এজিএমকে গ্রেফতার করেনি। আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে সেনাবাহিনী তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর আবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, ‘নেত্রকোনায় পল্লীবিদ্যুতের কমপ্লিট শাটডাউন চলছে। পল্লীবিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নিয়ে বসা হয়েছে। আশা করা যায়, কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো।’
তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিষয়টির কোনও সুরাহা হয়নি।