নেত্রকোনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল ইসলামকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে দুর্গাপুর উপজেলার পৃথক দুটি স্থানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা কার্যালয়ের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পিবিআই ময়মনসিংহ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার বলেন, ‘অভিযানে সাজিবুল ইসলাম ওরফে অপূর্ব (২৮) ও মো. বাকী বিল্লাহ (৩০) নামের দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে হত্যায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ হত্যাকাণ্ডে বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। এ ছাড়া মামলাটি থানা পুলিশের কাছ থেকে পিবিআইয়ে স্থানান্তরের কার্যক্রম চলমান।’
নিহত শফিকুল ইসলাম দুর্গাপুরের চণ্ডীগড় ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি জামালপুর পুলিশ লাইনসের বেতার বিভাগে এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম ছুটি নিয়ে গত বুধবার বাড়িতে আসেন। পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর পৌর শহরের বাগিচাপাড়া এলাকার বাসা থেকে বের হন। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে পানমহাল রোড এলাকা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পর রাত পৌনে ১০টার দিকে মারা যান। এ ঘটনায় শফিকুল ইসলামের বাবা শুক্রবার সকালে বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাত ছয় জনকে আসামি করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ফুটেজে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে শফিকুল ইসলাম প্যান্ট ও শীতের পোশাক পরে পানমহাল রোড দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। হঠাৎ তিন যুবক তার ওপর হামলা করে। ওই তিন জন রামদা দিয়ে শফিকুলকে এলোপাতাড়ি কোপায়। যুবকদের মধ্যে তিন জনই জ্যাকেট পরিহিত ছিল। দুজনের জ্যাকেটের হাত হলুদ রঙের। একজন মাথায় টুপি পরিহিত ছিল।