X
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
২০ বৈশাখ ১৪৩২

১৫ লাখ টাকায় বিক্রি হলো আলোচিত সেই ‘গ্রাম’

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
২৬ মার্চ ২০২৫, ২৩:৪৯আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৭:২২

মাত্র চার জন জনসংখ্যা নিয়ে গড়ে উঠা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আলোচিত সেই উমানাথপুর গ্রাম বিক্রি হয়ে গেছে। চার মাস আগে গ্রামের মালিক মো. সিরাজুল হক সরকার স্থানীয় আব্দুল মন্নাছের কাছে গ্রামটি বিক্রি করে দেন। তবে বুধবার বিকালে গ্রাম বিক্রির ঘটনা প্রকাশ পায় বলে জানান এলাকাবাসী।

গত বছর জুলাই মাসে ‘একটি বাড়ি নিয়ে একটি গ্রামের’ বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে এলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ‘উমানাথপুর’ নামে এই গ্রামের মোট জমির পরিমাণ ২৫ শতক। ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সিরাজুল সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে বাড়িটি পেয়েছেন। তিনি স্ত্রী ও সন্তানসহ মোট চার জনকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। যেখানে দুটি বসত ঘর, একটি গোয়াল ঘর, আছে একটি ছোট পুকুর ও একটি টয়লেট ছাড়াও বেশ কিছু গাছগাছালি। অন্যের জমির আইল দিয়ে এই বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়। আর এই বাড়ি ঘিরেই ‘উমানাথপুর’ নামে একটি গ্রাম গড়ে উঠেছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিরাজুল হক সরকার উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক হিসেবে কাজ করেন। ইউনিয়ন পরিষদসহ সব স্থানে কাগজে-কলমে এই বাড়িকে ঘিরেই গ্রামের পরিচয়। উপজেলার উত্তর দিকে এই গ্রামের অবস্থান। এই গ্রামের পাশেই পশ্চিমে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাগজপত্রে মৌজার নামও উমানাথপুর। এর আশপাশে গ্রামগুলো হলো- উত্তরে রামগোবিন্দপুর, দক্ষিণে হরিপুর, পূর্বে উদয়রামপুর ও পশ্চিমে রামগোবিন্দপুর ও হরিপুর। রাজিবপুর ইউনিয়নে গ্রামের সংখ্যা ৪৩টি। তার মধ্যে উমানাথপুর একটি। তবে এত কম লোক আর কোনও গ্রামে নেই।

প্রায় চার মাস আগে ১৫ লাখ টাকায় গ্রামটি বিক্রি করে দেন সিরাজুল ইসলাম সরকার। এক সপ্তাহ আগে জমির দলিল করাসহ অন্যান্য সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সিরাজুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নিজের জন্য এতো বড় বাড়ির প্রয়োজন নেই। তাই ভালো দামে বিক্রি করে একটু কম দামে পাশেই অন্য গ্রামে জমি কিনেছি। সেখানেই নতুন বাড়ি করে বসবাস করবো।’

বাড়ি তো নয়, পুরো গ্রামই বিক্রি করে দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে সিরাজুল বলেন, ‘তা বলতে পারেন। এখন যারা থাকবেন তারা তো ভাগ্যবান। গত প্রায় ৬০ বছরের ইতি টানলাম।’

গ্রামটি কিনেছেন পাশের উদয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মন্নাছ। তিনি ঢাকায় বড় ছেলে মোস্তফা কামালকে নিয়ে ফলের ব্যবসা করেন। আব্দুল মন্নাছ বলেন, ‘বাড়িটি কিনেছি ১৫ লাখ টাকায়। কাগজপত্রসহ খরচ পড়েছে ১৭ লাখ। কেনার পরদিনই বাড়িতে উঠেছি আমরা। এখন আমার পরিবারে সদস্য নয় জন। বাড়িটি কিনতে পেরে আমরা সবাই খুশি। কারণ এটা শুধু বাড়িই নয়, পুরো একটা গ্রাম।’

/এএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
এক গ্রামের জনসংখ্যা ৪ জন
গ্রামে নির্মিত হবে ১৬ হাজার ১৬০ কিলোমিটার নতুন সড়ক
শহর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষের সংখ্যা দুই বছরে দ্বিগুণ
সর্বশেষ খবর
সদ্য নির্মিত সেপটিক ট্যাংকে নেমে প্রাণ গেলো শ্রমিকের
সদ্য নির্মিত সেপটিক ট্যাংকে নেমে প্রাণ গেলো শ্রমিকের
প্রকৌশলী তুহিনের মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
প্রকৌশলী তুহিনের মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
নিজের বিভাগের উন্নতি না করে বোর্ডে আসার প্রয়োজন নেই: তামিম 
নিজের বিভাগের উন্নতি না করে বোর্ডে আসার প্রয়োজন নেই: তামিম 
সর্বাধিক পঠিত
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ফার্মাসিস্ট যুক্ত করার কথা ভাবছে সরকার’
‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ফার্মাসিস্ট যুক্ত করার কথা ভাবছে সরকার’
‘সাময়িক’ ফ্লাইট বন্ধ করলো নভোএয়ার
‘সাময়িক’ ফ্লাইট বন্ধ করলো নভোএয়ার