বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সদস্যসচিব আল নূর মোহাম্মদ আয়াসের ওপর হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার বেলা ১১টার দিকে নগরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ শহরে ফিরছিলেন আয়াস। পাটগুদাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে তাকে বহনকারী গাড়িটি যানজটে পড়ে। এ অবস্থায় গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় চার-পাঁচ জন যুবক এসে তার গলায় ছুরি ধরে বাসস্ট্যান্ডের পেছনে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। সেইসঙ্গে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে মাথা, পায়ে ও শরীরের দু-এক জায়গায় ছুরির আঘাত লাগে তার। পরে ওই যুবকরা দৌড়ে চলে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আয়াস বলেন, ‘যারা হামলা করেছে তাদের আমি চিনি না। তবে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের পর থেকে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল একটি পক্ষ। আজ তারা আমাকে মারধরের পরে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এটি পরিকল্পিত ঘটনা। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক সাকিব হাসান বেলাল বলেন, ‘আয়াসের মাথা, পেট ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে অবস্থা খুব গুরুতর নয়। চিকিৎসা চলছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সদস্যসচিব আলী হোসেন বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের মতো সরকারের পতন হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের মূল টার্গেট আমরা। যার কারণে আয়াসের ওপর আজকের হামলা। প্রশাসন কঠোর না হলে এসব হামলা আরও বাড়তে থাকবে। আমরা চাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত যেন গ্রেফতার করা হয়।’
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে তাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেনি। সম্ভবত কয়েকজন মিলে মারধর করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’