রাজশাহীর পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদেরকে টাকা দেওয়ার অভিযোগে জামায়াত কর্মী দেলোয়ার হোসাইনকে (৪৫)গ্রেফতার করা হয়েছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও রাজপাড়া জোনের সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মী দেলোয়ার হোসেন শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ছোট পুকুরিয়া গ্রামের আবদুল বাক্কার ও আলতাফ হোসেনসহ আরও কয়েকজনের বাড়িতে গিয়ে দল সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের অটোরিকশা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোট প্রতি ২০০ টাকা করে দিচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় গ্রামবাসী তাকে নগদ ১০ হাজার ৪০০ টাকা ও জামায়াত প্রার্থীর কিছু লিফলেটসহ আটক করেন। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। দেলোয়ার পবার গোবিন্দপুর এলাকার আবদুস সোবহানের ছেলে। কাশিয়াডাঙা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক তিনি।
আরও পড়তে পারেন: মনে হচ্ছে বিনিয়োগে ‘ইতিবাচক ধাক্কা’ এসেছে: অর্থমন্ত্রী
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান জানান, নির্বাচনে অবৈধ টাকা ওড়ানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর তার কাছে থাকা নগদ টাকা,জামায়াত প্রার্থীর লিফলেট ও দলীয় একটি মোটরসাইকেল আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউপিতে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন,একজন মানুষের কাছে ১০ হাজার টাকা থাকতেই পারে। এটা তার ব্যক্তিগত টাকা। তার কাছে টাকা পাওয়া মানেই সেগুলো ভোট কেনার টাকা এমন অভিযোগ সঠিক নয়। দেলোয়ার হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
হড়গ্রাম ইউনিয়নে শনিবার ভোটগ্রহণ। এখানে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় প্রার্থীসহ মোট ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়তে পারেন: প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৮০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বিনিয়োগ লাগবে: সিপিডি
/এমএসএম /