X
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সুন্দরবনে র‌্যাবের অভিযান: ৮ বছরে নিহত ৮৮ বনদস্যু

এস এম সামছুর রহমান, বাগেরহাট
১৭ জুন ২০১৬, ০৬:৩৬আপডেট : ১৭ জুন ২০১৬, ০৬:৪১
image

সুন্দরবনে র‌্যাব-৮ (র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটেলিয়ান) এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গত আট বছরে ৮৮ জন বনদস্যু নিহত হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয় ৫১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়া বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে কয়েকশ’ বনদস্যুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে বনদস্যুদের বাহিনী প্রধানরা নিহত হলে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বা প্রভাবশালী সদস্যরা নতুন নামে একাধিক দস্যু বাহিনী গঠন করে ডাকাতি অব্যাহত রাখে।

জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ

এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক বছরে সুন্দরবনে বনদস্যুরা মারাত্মক বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা জেলেদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় শুরু করে। চাঁদা না পেলে ট্রলারে হামলা চালিয়ে জাল ও মাছ লুট এবং জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতে থাকে। বনদস্যুদের বেপরোয়া তাণ্ডবের কারণে সাগর ও বনের ওপর নির্ভরশীল জেলেরা অতিষ্ঠ হওয়ার অভিযোগ ওঠায় সুন্দরবনে বেড়ে যায় র‌্যাবের অভিযান। বন্দুকযুদ্ধে একের পর এক নিহত হতে থাকে কয়েকটি বনদস্যু বাহিনীর প্রধানসহ তাদের সহযোগীরা। এতে সুন্দরবনের বনদস্যুদের মধ্যে র‌্যাব আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দিশেহারা এসব বনদস্যুদের কাছ থেকে আসতে থাকে আত্মসর্মপণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব। এরই সূত্র ধরে গত ৩১ মে মাস্টার বাহিনীর ১০ সদস্য ৫১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করে। আর এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে সুন্দরবনের দস্যুতার এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়।

র‌্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবিরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০০৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন দুধর্ষ জলদস্যু মোতালেব বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডার মীর মোশাররফ মল্লিক ওরফে কচি ভাই (৪৫)। এ সময় উদ্ধার করা হয় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র।

২০১০ সালে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন সাত বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ২৯টি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই বছরের ১১ জুন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন আরব আলী ওরফে কোম্পানি, ইদ্রিস গাজী ওরফে রাঙ্গা ও আব্দুল কুদ্দুছ মোল্লা নামের তিন বনদস্যু। সেসময় উদ্ধার করা হয় ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র। ৯ জুলাই নিহত হন বনদস্যু মো. ফারুক সর্দার ওরফে ফারুক ওরফে সাত্তার ওরফে কাদের (২৭) ও  মো. আফজাল মাঝি (৩৬)। উদ্ধার করা হয় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র। ২৩ অক্টোবর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন মো. মানিক আকন ওরফে ডাক্তার মানিক ও মো. জাহাঙ্গীর মোল্লা ওরফে জাহাঙ্গীর নামে দুই বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ১৬টি আগ্নেয়াস্ত্র।

২০১১ সালে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন ১৮ বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ৭০টি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন বনদস্যু আব্দুল খালেক হাওলাদার (৪৯)। উদ্ধার করা হয় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র। একই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি অলিয়ার রহমান ওরফে অলী ফকির ওরফে কৃষ্ণ সাগর (৩৯), ২৩ ফেব্রুয়ারি মোতালেব বাহিনীর প্রধান মো. মোতালেব শেখ ওরফে মোতালেব (৩৮), ২৮ ফেব্রুয়ারি আবু সাইদ শিকদার ও মো. আসাদ শেখ ওরফে ডাকাত আসাদ নিহত হন। উদ্ধার করা হয় ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র। ২১ মে নিহত হন আ. কুদ্দুস ফকির ও আ. হালিম হাওলাদার। উদ্ধার করা হয় ১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র। ২২ জুন নিহত হন জুলফিকার বাহিনীর প্রধান মো. জুলফিকার বাবুল ওরফে জুলফিকার ওরফে জুলফু (৩৫), শেখ হাফিজুর রহমান ওরফে ডাকাত হাফিজ (৪৮), মো. মাইন উদ্দিন মাঝি ওরফে মেঘনা জাকির (৪১) ও মো. এখলাছুর রহমান ওরফে ডাকাত সানু (২২)। উদ্ধার করা হয় ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র। একই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর নিহত হন মো. বেলায়েত হাওলাদার ওরফে বেলায়েত (৩৫), মো. কামরুজ্জামান ওরফে নাতি কামরুল (২৫), মো. রওশন ইসলাম ওরফে রওশন (৩০) ও অজ্ঞাতনামা এক বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র। একই বছরের ১২ নভেম্বর নিহত হন মান্নান ও মাসুম নামে দুই বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ১৭ টি আগ্নেয়াস্ত্র। এ বছরের ২০ ডিসেম্বর নিহত হন বনদস্যু বাবুল হাওলাদার ওরফে বাবুল। উদ্ধার করা হয় ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র।

২০১২ সালে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন ১৭ বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ৭৪টি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই বছরের ১৯ জানুয়ারি নিহত হন জিহাদ বাহিনীর সহযোগী মো. গোলাম কিবরিয়া ওরফে কিবরি (৩৫)। উদ্ধার করা হয় ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র। ২৮ ফেব্রুয়ারি নিহত হন শিশির কুমার মণ্ডল ওরফে মন্টু মেম্বার, মো. বাচ্চু, মো. জামাল মুন্সী ও অজ্ঞাত এক বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র। ১৬ মার্চ নিহত হন বনদস্যু জিহাদ বাহিনীর প্রধান জিহাদ শেখ, সোহাগ বাহিনীর প্রধান সোহাগ ফরাজী, আসাদুল বয়াতী, মো. বিল্লাল শেখ ওরফে রাজা ও আলামিন। উদ্ধার করা হয় ১১ টি আগ্নেয়াস্ত্র। ৩০ মে নিহত হন নব কুমার হালদার, মিহির রায় ও ফখরুল শেখ নামে তিন বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র। ৮ সেপ্টেম্বর নিহত হন নুরুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা এক বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্র। ১৮ নভেম্বর নিহত হন ডাকাত মোহাম্মদ ফয়সাল ওরফে ফয়সাল ডাকাত ও অজ্ঞাতনামা এক বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র।

২০১৩ সালে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন ১৩ বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ৬২টি আগ্নেয়াস্ত্র। এ বছরের ২২ জুন নিহত হন ছোট্ট বাহিনীর প্রধান জাকির ওরফে ছোট্ট। উদ্ধার করা হয় ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র। ৬ ফেব্রুয়ারি নিহত হন এককালীন রাজু বাহিনীর প্রধান মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে নটো শহিদুল ও মুজিবুর রহমান ওরফে মুজিবুর। উদ্ধার করা হয় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র। ২৩ এপ্রিল নিহত হন মোর্তুজা বাহিনীর সদস্য সেলিম হাওলাদার ওরফে সেলিম ও  দুই অজ্ঞাত বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র। ২০ জুন নিহত হন আমজাদ বাহিনীর প্রধান আমজাদ সরকার ওরফে বাপ্পী, সাইজ্যা বাহিনীর প্রধান মাহমুদ ফকির ওরফে মাহবুব ওরফে সাইজ্যা ও এক অজ্ঞাতনামা বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্র। ১০ জুলাই নিহত হন শীর্ষ বাহিনীর সদস্য কালাম খাঁ (৪৫) ও রিয়াজ মৃধা ওরফে ডালিম (২৭) । উদ্ধার করা হয় ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র। ৩০ অক্টোবর নিহত হন মোর্তুজা বাহিনীর প্রধান মোর্তুজা হোসেন রানা (৩০) ও মো. মোশারেফ শেখ (২৯)। উদ্ধার করা হয় ১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র।

২০১৪ সালে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন ১০ বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ৫১টি আগ্নেয়াস্ত্র। ১৮ মার্চ নিহত হন শীর্ষ বাহিনীর সদস্য বড় ভাই কাদের (৪০), কল্যাণ (২৮) ও অজ্ঞাত এক বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র। ২৯ এপ্রিল নিহত হন হামিদ মোল্লা ওরফে ধলু (৪০) ও মো. বাচ্চু (৩৮) । উদ্ধার করা হয় ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র। ১৮ আগস্ট নিহত হন নাসির বাহিনীর প্রধান নাসির ওরফে রাসেল। উদ্ধার করা হয় ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র। ৮ অক্টোবর নিহত হন আওয়াল বাহিনীর সদস্য রাজু (২৫) ও জাকির (৩০)। উদ্ধার করা হয় ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র। ১১ নভেম্বর নিহত হন দারোগা বাহিনীর প্রধান এমাদুল হাওলাদার ওরফে দারোগা (৩৪) ও সাইফুল ইসলাম (২৪)। উদ্ধার করা হয় ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্র।

২০১৫ সালে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন ১৬ বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ১৩৯টি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই বছরের ৯ জানুয়ারি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন দারোগা বাহিনীর উপ-প্রধান ছগির হাওলাদার (৩০) ও অজ্ঞাত এক বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র। এ বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি নিহত হন সাগর-সৈকত বাহিনীর সদস্য সাদ্দাম হোসেন, সোহেল মুছা ও এক অজ্ঞাত বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র। ১ এপ্রিল রাজু ফরহাদ বাহিনীর উপ- প্রধান কামরুল শেখ (৩৭) নিহত হন। সেসময় ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ১০ মে বনদস্যু আলমগীর হাওলাদার (৩৪) ও রিপন হাওলাদার (৩০) নিহত হন। ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ১৫ জুন নিহত হন জামাল বাহিনী প্রধান নুরুজ্জামান ওরফে জামাল। তখন ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ৩১ আগস্ট নিহত হন মনির বাহিনীর সদস্য খলিল ডাকাত। উদ্ধার করা হয়  ১২টি দেশি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র। ৩০ সেপ্টেম্বর সুন্দরবনের কুখ্যাত বনদস্যু সাগর-সৈকত বাহিনীর প্রধান আক্কাস ওরফে রহিম ওরফে জামাই (২৮) নিহত হন। ১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ২৮ অক্টোবর নিহত হন শিপন বাহিনীর প্রধান শিপন মাতবর (৩০)। উদ্ধার করা হয় ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র। ৩০ নভেম্বর নিহত হন মনির বাহিনীর প্রধান মনির খলিফা (৩০) ও তার সহযোগী নুর ইসলাম সরদার ওরফে ভোলা (৪৮)। উদ্ধার করা হয় ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র। ২৮ ডিসেম্বর নিহত হন কুখ্যাত আকাশ-বাবু বাহিনীর প্রধান আবুল কাশেম বিল্লাল ওরফে আকাশ বাবু(৪০) ও তার সহযোগী ফরিদ শেখ ওরফে মেজ ভাই (৪২)। সেসময় ১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

২০১৬ সালের মে পর্যন্ত র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন ৬ বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ৪১টি আগ্নেয়াস্ত্র। এ বছরের ৩১ জানুয়ারি বন্দুকযুদ্ধে মজনু বাহিনীর উপ-প্রধান জলদস্যু মশিউর রহমান (২৯) নিহত হন। উদ্ধার করা হয় ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র। ১০ মার্চ  নিহত হন নয়ন বাহিনীর প্রধান মনির হোসেন (২৫), তার সহযোগী এনাম (৩৫), গিয়াস উদ্দিন (২৫) ও হাসান (২০) নামে চার বনদস্যু। উদ্ধার করা হয় ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র। ৬ মে নিহত হন আলম বাহিনীর প্রধান আলম খাঁন। উদ্ধার করা হয় ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র।

গত এক বছরে কয়েকটি বনদস্যু বাহিনীর প্রধানরা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হতে থাকলে ৩১ মে মাস্টার বাহিনীর ১০ সদস্য ৫১ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেন। 

র‌্যাব -৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে র‌্যাব-৮ সুন্দরবনে দস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত রেখেছে। এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি বনদস্যু বাহিনী প্রধানসহ অনেক বনদস্যু বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৫ শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়া গত ৩১ মে সুন্দরবনের কুখ্যাত বনদস্যু মাস্টার বাহিনীর ১০ সদস্য আত্মসমর্পণ করেছে।

তিনি বলেন, জেলেদের খবর অনুযায়ী পূর্ব সুন্দরবন এখন দস্যুমুক্ত। তবে পশ্চিম সুন্দরবনে এখনও কিছু বনদস্যু বাহিনী রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সুন্দরবনে বনদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য মোটিভেশন দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু বাহিনী প্রধান আত্মসর্মপণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য যোগাযোগ করেছে। তাদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহযোগিতা করা হবে। আর যারা ফিরে আসবে না, তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাব কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুর রহমান বলেন, বিশাল আয়তনের এ সুন্দরবনের সুরক্ষার জন্য সীমিত সংখ্যক বনরক্ষী রয়েছে। তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে র‌্যাবের অভিযানের ফলে সুন্দরবনে বনদস্যুদের তৎপরতা অনেকাংশে কমে গেছে।

আরও পড়ুন:
যশোরে নিহত ৪ জনের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় মিলেছে
দামুড়হুদায় শিশুসহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম
সাতক্ষীরায় র‌্যাব পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ

/বিটি/টিএন/

আপ - /এসএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ফালুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দুদকের
ফালুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দুদকের
রণক্ষেত্রে রুশ অগ্রগতি পাল্টে দিতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপথ
উদ্বিগ্ন হোয়াইট হাউজরণক্ষেত্রে রুশ অগ্রগতি পাল্টে দিতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপথ
ডিএনসিসির খালে ময়লা ফেললে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা: মেয়র
ডিএনসিসির খালে ময়লা ফেললে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা: মেয়র
রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প থেকে মেগা সিরিয়াল
রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প থেকে মেগা সিরিয়াল
সর্বাধিক পঠিত
সোনার অলংকার কেনাবেচায় নতুন হার নির্ধারণ
সোনার অলংকার কেনাবেচায় নতুন হার নির্ধারণ
নিজের বাসায় পরীক্ষা নিয়েছিলেন কর কর্মকর্তা!
নিয়োগ বাণিজ্য করে কোটি টাকা আত্মসাৎনিজের বাসায় পরীক্ষা নিয়েছিলেন কর কর্মকর্তা!
পেঁয়াজ আমদানি শুরু
পেঁয়াজ আমদানি শুরু
একীভূত হতে পারে কেউ পাস না করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
একীভূত হতে পারে কেউ পাস না করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
যে কারণে রাজশাহীর তিন প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল
যে কারণে রাজশাহীর তিন প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল