গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার দুই নারী স্বামী-সন্তানসহ কয়েক বছর ধরে নিখোঁজ। সায়মা আক্তার মুক্তা ও রাবেয়া আক্তার টুম্পা নামে ওই দুই নারী ডুমুরিয়া ইউনিয়নের করফা গ্রামের মৃত ছোলেমান শেখের মেয়ে। এর মধ্যে গত বছর সিরিয়ায় আইএসবিরোধী হামলায় নিহত হয়েছেন মুক্তার স্বামী। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের একটি সূত্র এবং স্থানীয় পুলিশ এসব কথা জানিয়েছে।
টুম্পা ও মুক্তার বাবার বাড়িতে তাদের দূর সম্পর্কের চাচা আসাদ শেখ পরিবার নিয়ে থাকেন। আসাদের স্ত্রী বিউটি বেগম জানান, ছোলেমান শেখের ছেলে-মেয়ের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি খুলনায় ব্যবসা করতেন। গ্রামের বাড়িতে তার জায়গা জমি-আছে। কিন্তু বাড়িঘর নেই। তিনি গ্রামে খুবই কম আসতেন।
তিনি আরও জানান, পাকুড়তিয়া গ্রামে শরিফুল হক ইমনের সঙ্গে টুম্পার এবং সাইফুল হক সুজনের সঙ্গে মুক্তার বিয়ে হয়। ইমন ও সুজন দুই ভাই। তাদের বাবার নাম একেএম আবুল হাসনাত।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মাহামুদুল হক জানান, টুম্পা ও মুক্তার পৈতৃক বাড়িতে কোনও বাড়িঘর নেই। মুক্তার স্বামী সাইফুল হক সুজন সিরিয়ায় আইএস (ইসলামিক স্টেট) বিরোধী হামলায় নিহত হয়েছেন।
পাকুড়তিয়া গ্রামের বাসিন্দা বায়জিত মিয়া জানান, সুজন সিরিয়ায় আইএসের ঘাঁটিতে বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশ সুজনের বাবাকে গ্রেফতার করে। তিনি এখন জেলহাজতে আছেন। গ্রামের বাড়িতে তারা কেউ থাকে না।
করফা গ্রামের বাসিন্দা মো. মোস্তফা শেখ জানান, ছোলেমান ‘করফা সামসুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রসা’য় ২ বিঘা জমি দান করেন। তার জমিতেই ১৫ বছর আগে মাদ্রাসা স্থাপন করা হয়। ওই মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের হাওলাদার বলেন, ‘ছোলেমানের মেয়েদের ব্যাপারে কিছুই জানি না। তবে টুম্পা ও মুক্তা স্বামীর হাত ধরে সিরিয়ায় যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবারও পুলিশ সদর দফতরে যাবেন বাবুল আকতার
/এআরএল/আপ-এআর/