সুন্দরবনের ভেতরে নিজেদের তৎপরতা চালাতে ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করেছে দস্যুরা। ওয়াচ টাওয়ারের কাছেই টং ঘর, পানি আটকানোর বাঁধ, নৌযান বাঁধার নির্ধারিত স্থান ও বাঁধার মতো ব্যবস্থাও রয়েছে। সুন্দরবনে জলদস্যু ও বনদস্যু নির্মূল করতে কোস্টগার্ড ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় এসব পাওয়া গেছে। অপারেশন পাইরেটস হান্ট নামের এই অভিযান চলছে।
কোস্ট গার্ড মংলা জোনের স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট এম ফরিদুজ্জামান খান বলেন, প্রথম ২৪ ঘন্টার অভিযানে শরণখোলা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় দস্যুদের ২টি স্থাপনা পাওয়া যায়। যেখানে টং ঘর, পানি আটকানোর বাঁধ, ওয়াচ টাওয়ার, নৌযান বাঁধার নির্ধারিত স্থান ও বাঁধার মতো ব্যবস্থা, থালা-বাসনসহ কিছু গৃহস্থালি সামগ্রী ছিল। যা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার পর আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
ফরিদুজ্জামান বলেন, এ সব স্থানে দস্যুরা নিয়মিত থাকে না। দস্যুরা মাঝে মধ্যে এখানে ২/১ দিনের জন্য অবস্থান নিতো। সুন্দরবনের এ সব স্থাপনায় নিয়ে আটকে রেখে জেলেদের ওপর অত্যাচার করা হতো। অপহরণের পর এ সব স্থানে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করা হত। নৌকা থেকে লুণ্ঠিত মালামাল এ সব স্থানে রাখা হত। অভিযানে দস্যুদের এ সব স্থাপনা ধ্বংস হওয়ার ফলে জেলে সম্প্রদায় ও মৌয়ালরা দস্যুদের স্থায়ী নির্যাতন কেন্দ্রের চাপ থেকে রক্ষা পাবে।
অভিযান চলাকালে সুন্দরবনের আরও গভীরে অনুসন্ধান চালানো হবে। সুন্দরবনে গড়ে তোলা দস্যুদের স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হবে। বনের অভ্যন্তরে দস্যুদের জন্য কোনও নিরাপদ স্থান রাখা হবে না জানিয়ে ফরিদুজ্জামান আরও বলেন, পূর্ব সুন্দরবনে হারবারিয়া এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে পাইরেটস হান্ট অভিযান শুরু হয়। কোস্ট গার্ড ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে এ অভিযান চালাচ্ছেন। বন বিভাগের সদস্যরা এ যৌথ অভিযানে সার্বিক সহায়তা প্রদান করছে। সুন্দরবনে সাধারণ জেলে, মৌয়াল ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে দস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করতেই এই পাইরেটস হান্ট অভিযান।
অপারেশন পাইরেটস হান্টে বিএনএস মংলা ও কর্ণফূলীসহ ২টি যুদ্ধ জাহাজ ও ৮টি দ্রুতগামী জলযান অংশ নিয়েছে। এই অভিযানে নৌবাহিনীর ৭০ জন ও কোস্টগার্ডের ১০ জন সদস্য রয়েছেন।
আরও পড়ুন-
খালেদাকে ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালনে নিরুৎসাহিত করেছেন কাদের সিদ্দিকী
সেই হাতিটিকে অজ্ঞান করে উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে
/এফএস/