X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

কান্না থামেনি রতনের পরিবারের

তানভীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ
২১ আগস্ট ২০১৬, ০০:১৮আপডেট : ২১ আগস্ট ২০১৬, ০২:০৯

রতন শিকদার

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় অন্যদের সঙ্গে মারা যান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার গাবতলী এলাকার রতন শিকদার। ১২ বছর আগে নৃশংস সেই ঘটনায় রতনের মৃত্যুর পর পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার। ঠিকমতো তখন খোঁজ-খবরও নিতেন না আওয়ামী লীগের লোকজন। এখন পরিস্থিতির  কিছুটা পরিবর্তন ঘটলেও কান্না থামেনি রতনের পরিবারের লোকজনের। বিচার না পাওয়ায় হতাশ তারাও। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দ্রুত বিচার করে দোষীদের ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলাবেন এমন প্রত্যাশা পরিবারের। কারণ ওই ঘটনায় আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন।

সম্প্রতি ফতুল্লার গাবতলীর বাড়িতে কথা হয় রতনের মা মমতাজ বেগমের সঙ্গে। ছেলের ছবি কোলে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘সবার কাছে আগস্ট শোকের মাস হলেও  আমার কাছে সারা বছরই শোকের মাস। প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুধু সুষ্ঠু বিচারটা চাই। রতন সারাজীবন আওয়ামী লীগ করেছে। আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠান হলেই ছুটে যেতো। আজ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে, তাই প্রধামন্ত্রীর কাছে একটাই দাবি, বিচারটা দেখে যেতে চাই।’

রতনের ছোট ভাই কবিরউদ্দিন শিকদার টুটুল জানান, বঙ্গবন্ধু, তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ অন্ধভক্ত ছিলেন রতন শিকদার। ক্ষুদ্র ব্যবসার স্বল্প উপার্জনে সংসার চালানো দায় হলেও শেখ হাসিনার কোনও সমাবেশ হলেই নিজের টাকা খরচ করে সেখানে ছুটে যেতেন তিনি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নেত্রীর টানে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছুটে গিয়েছিলেন রতন। বিকালে শেখ হাসিনার বক্তব্য চলাকালীন গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথেও সঙ্গীদের কাছে বারবার জিজ্ঞেস করছিলেন ‘আমার নেত্রী বেচেঁ আছে তো’। একথা বলতে বলতে এক সময়ে ঢলে পডেন মৃত্যুর কোলে।

তিনি আরও জানান, বাবা মৃত আব্দুল হক শিকদারও ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভক্ত।

ছেলের ছবি নিয়ে আজও কাঁদেন রতনের মা মমতাজ বেগম

রতন শিকদার ফতুল্লার বিভিন্ন টেক্সটাইল মিল হতে কাপড় কিনে দোকানে বিক্রি করতেন। রতনের স্ত্রী রোজিনা আক্তার দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি যাত্রাবাড়িতেই থাকেন। ছেলে আনন্দ শিকদার দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এখন বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছে। আর মেয়ে অপূর্ব যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল থেকে সদ্য এসএসসি পাস করেছে।

টুটুল আরও জানান, রতনের মৃত্যুর পর প্রথমে এক লাখ টাকা প্রদান করা হয়। ২০১৩ সালে রতনের দুই ছেলে মেয়ের নামে ২লাখ টাকা করে ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ ইতিহাসের বর্বরোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মারা যান ২৩ জন। আহত হন আরও ১২০ জন। যাদের মধ্যে নিহত একজন রতন শিকদার।

/এমএসএম/

আরও পড়ুন:
আজ রক্তাক্ত ২১ আগস্ট

শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয় যেভাবে

সেই জজ মিয়া এখন কোথায়?

গ্রেনেড হামলার এক যুগ: আর মাত্র দুই সাক্ষী বাকি

 

 

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আসাদের নেতৃত্বে নিউগিনির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা
আসাদের নেতৃত্বে নিউগিনির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা
সরকার সব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিচ্ছে: এবি পার্টি
সরকার সব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিচ্ছে: এবি পার্টি
নির্বাচনে জয়ের দুই মাস পর কাউন্সিলরের ১০ বছর কারাদণ্ড
নির্বাচনে জয়ের দুই মাস পর কাউন্সিলরের ১০ বছর কারাদণ্ড
তিন বিজয়ীকে পুরস্কার দিলো ‘হুর’
তিন বিজয়ীকে পুরস্কার দিলো ‘হুর’
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ