X
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জঙ্গি রিপনকে ফাঁসিতে ঝোলাবে ১০ জনের জল্লাদ প্যানেল

সিলেট প্রতিনিধি
১২ এপ্রিল ২০১৭, ২০:৩০আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০১৭, ২১:৩৭

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে জোরদার করা হয়েছে কারাগারের নিরাপত্তা

সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা দেলোয়ার হোসেন রিপনকে ফাঁসিতে ঝোলাবে জল্লাদ ফারুকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্যানেল। জল্লাদদের প্যানেলটি ইতোমধ্যে কারাগারে অবস্থান নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. ছগির মিয়া।

জেল সুপার মো. ছগির মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রিপনের ফাঁসি কার্যকর করার জন্য ৮৫ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জল্লাদ ফারুকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্যানেলকে প্রস্তুত করা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেছে।’

কারা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১২ এপ্রিল) রাত ১০টার পরে জঙ্গি দেলওয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকর হবে। এজন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে জোরদার করা হয়েছে কারাগারের নিরাপত্তা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জল্লাদ ও ফাঁসির মঞ্চ। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

এদিকে, জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপনের সঙ্গে দেখা করতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে এসেছে তার পরিবার। আজ (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে শিশু, নারী ও পুরুষসহ রিপনের পরিবারের মোট ২০জন সদস্য তিনটি গাড়িতে করে কারাগারে এসে পৌঁছান।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন রিপনের শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে তার পরিবারকে ডেকেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আজ (বুধবার) সকালের দিকে বাবা-মার সঙ্গে ইফতার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে দুপুরের দিকে জেল সুপার ছগির মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, জঙ্গি রিপন রোজা রেখেছে। সে তার বাবা-মার সঙ্গে ইফতার করতে চেয়েছে। বিকালে তারা আসবেন।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাষ্ট্রপতির কাছে করা রিপনের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে। এরপর তা রিপনকে পড়ে শোনানো হয়। পরে বিকালে বাবা আ. ইউসুফ, মা আজিজুন্নেছা, ভাই নাজমুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রিপনের সঙ্গে দেখা করেন।

উল্লেখ্য, সিলেটের হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারে ২০০৪ সালের ২১ মে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মুফতি হান্নানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখেন। এরপর তিন আসামিই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি আবেদন খারিজ করে দেন। এখন ফাঁসি কার্যকরে আর কোনও আইনি বাধা নেই। মুফতি হান্নান ও বিপুল গাজীপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি আছেন।

/এমএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ দল
বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ দল
রাজশাহীতে গুটি আম পাড়া শুরু, কেজি ৪০ টাকা
রাজশাহীতে গুটি আম পাড়া শুরু, কেজি ৪০ টাকা
রাজস্থানের শীর্ষ দুইয়ে থাকা কঠিন করে দিলো পাঞ্জাব
রাজস্থানের শীর্ষ দুইয়ে থাকা কঠিন করে দিলো পাঞ্জাব
লন্ডনে অবৈধ অভিবাসীদের খোঁজে অভিযান, বাঙালিপাড়ায় উৎকণ্ঠা
লন্ডনে অবৈধ অভিবাসীদের খোঁজে অভিযান, বাঙালিপাড়ায় উৎকণ্ঠা
সর্বাধিক পঠিত
নিজের বাসায় পরীক্ষা নিয়েছিলেন কর কর্মকর্তা!
নিয়োগ বাণিজ্য করে কোটি টাকা আত্মসাৎনিজের বাসায় পরীক্ষা নিয়েছিলেন কর কর্মকর্তা!
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ
ঢাকায় চলবে না ব্যাটারিচালিত রিকশা
ঢাকায় চলবে না ব্যাটারিচালিত রিকশা
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খান এই ৫ খাবার
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খান এই ৫ খাবার
যে কারণে রাজশাহীর তিন প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল
যে কারণে রাজশাহীর তিন প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল