লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নে মধ্য কালিরচর গ্রামে জুমার নামাজে মোনাজাত না করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নুর হোসেন নামের এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এসময় তার বড় ভাই জাকির হোসেন আহত হন। শুক্রবার (৯ জুন) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশ জানায়, মধ্য কালিরচর গ্রামের মনছুর আহমদ জামে মসজিদের ইমামের মোনাজাত না করাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে। নুর হোসেনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১০ জুন) সকাল সাতটায় মারা যান।
শনিবার (১০ জুন) সকাল ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চাকমা, সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল মো. শাহনেওয়াজ খন্দকার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন।
এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে মসজিদের ইমাম আল আমিনকে আটক করে পুলিশ। পরে মসজিদ কমিটির সভাপতি আহসান উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মনছুর আহমদকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় মনছুর আহমদ জামে মসজিদের ইমাম মো.আল আমিন নামাজের পর মোনাজাত করতেন না। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনছুর আহমদ শুক্রবার (৯ জুন) জুমার নামাজের পর ইমামকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদককে মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন তিনি। এসময় ইমাম ও কমিটির লোকজন বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এর জের ধরে রাতে তারাবির নামাজের পর ইমামের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় দেলোয়ারসহ কয়েকজন প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করেন। এ সময় নুর হোসেন ও তার বড় ভাই জাকির হোসেন আহত হন।
উল্লেখ্য, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনছুর আহমদের নামেই মসজিদটির নাম ‘মনছুর আহমদ জামে মসজিদ’ রাখা হয়েছে।
এদিকে, নিহতের ভাই জাকির, স্ত্রী জেসমিন আক্তারসহ পরিবারেরর পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় মসজিদের ইমামকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
/এনআই/এসএমএ/