লালমনিরহাটে বন্যায় তিন উপজেলার ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় শ্রেণি পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এ সংক্রান্ত এক আদেশ (স্মারক নং- ডিডি/প্রাই/রবিরং/১১৩১/৮) জারি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দফতরে পাঠিয়েছে।
বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ৪টি, আদিতমারী উপজেলায় ৪টি ও হাতিবান্ধা উপজেলায় ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এসব বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে হাতিবান্ধা উপজেলার দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ বিদ্যালয় দুটি হলো- পূর্ব ডাউয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ডাউয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এছাড়া তিস্তার পানি ঢুকে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রেণি পাঠদান বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো- হাতিবান্ধা উপজেলার কিসামত নোহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাউয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম হলদীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব হলদীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পার শেখ মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিন্দুর্ণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর গড্ডিমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর হলদিবাড়ী শিশু কল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরবুদারু কাশিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধুরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন ইসমাইলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবর্দ্ধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোবর্দ্ধন চড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, ‘গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এতে হাতিবান্ধা উপজেলার দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া ১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে। এ জন্য এসব বিদ্যালয় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লালমনিরহাট-১ আসনের সাংসদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে জেনেছি লালমনিরহাটের তিনটি উপজেলায় মোট ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে দুইটি বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি হলে এসব বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান শুরুর পাশাপাশি বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করে শ্রেণি পাঠদানের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।’
/এমও/