X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার আহ্বান মৌলভীবাজারের ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ীদের

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
১০ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:০০আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:০৮

মৌলভীবাজারের একটি চালের আড়ত সারাদেশেই সব চাল ব্যবসায়ীকে নতুন করে লাইসেন্স নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। অন্য জেলার মতো মৌলভীবাজারেও ব্যবসায়ীদের এই নির্দেশ অনুসরণের জন্য বাজারগুলোতে নোটিশ দিয়েছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা লাইসেন্স নেওয়ার প্রক্রিয়ার কথা এখনও জানেন না। লাইসেন্স প্রক্রিয়া ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ীদের অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ঘোষণার পরই দেশের সব জেলাতে পাইকারি ও খুচরা চাল ব্যবসায়ীসহ আড়তদারদের নতুন করে লাইসেন্স দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে খুচরা চাল ব্যবসায়ী রণজিৎ পাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি কোনোদিন লাইসেন্স করিনি। লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগবে, তাও আমার জানা নেই। তবে খাদ্য অধিদফতর থেকে লোকজন এসেছিল। লাইসেন্স করা ভালো, বুঝতে পারছি। কিন্তু চালের বাজার তো ভালো নয়। ব্যবসায় মন্দা। এই অবস্থায় আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ীদের এই লাইসেন্স করতে হলে তো তা বোঝা হয়ে যাবে।’
শ্রীমঙ্গল সেন্ট্রাল রোডের পাইকারি ও খুচরা চাল ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, ‘আড়তদারদের কাছ থেকে চাল কিনে বিক্রি করি। তারপরও লাইসেন্স করেছি। সরকার নির্দেশ দিলে আবার করবো।’
মৌলভীবাজারের চাল ব্যবসায়ী হালিম আহমেদ ও সোহেল আহমদ বলেন, ‘আমরা তো পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছি। আবার লাইসেন্স নিয়ে লাভ কী হবে? তার ওপর চালের বাজার ডাউন।’ তারা আরও বলেন, ‘বড় বড় ব্যবসায়ী আর অটোমেটিক রাইস মিলের মালিকদের লাইসেন্স আরও কঠিন করা দরকার। ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স করা দরকার হয় না বলেই আমরা মনে করি।’ তবে সব চাল ব্যবসায়ী লাইসেন্স করলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে বলে মনে করেন তারা।
শ্রীমঙ্গল সেন্ট্রাল রোডের সুচিত্রা এন্টারপ্রাইজের পরিচালক তুষার দেব বলেন, ‘চালের দাম অনেক বাড়তি। কাস্টমার এত দামে চাল কিনতে চায় না। তাই গত প্রায় এক মাস চাল তুলতে পারিনি। এখন চালের দাম আবার কমতেছে। এই বাজারে ব্যবসা করাই কঠিন। এর মধ্যে লাইসেন্স একটা বাড়তি জটিলতা।’
ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ীরা লাইসেন্স নিয়ে দ্বিধায় থাকলেও এরই মধ্যে লাইসেন্সের জন্য আবেদন দিতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। জেলা খাদ্য কার্যালয়ও এ বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জেলা খাদ্য অফিসের কর্মকর্তা মনোজ কান্তি দাস চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জেলা বা উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ আছে, তারা যেন হাট-বাজারে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স নিতে দোকানগুলোতে তালিকা তৈরি করে নোটিশ জারি করেন। আমরা এর মধ্যে দ্বিতীয় দফা নোটিশ দিয়েছি।’
মনোজ কান্তি আরও বলেন, ‘জেলায় ৪১৯টি লাইসেন্স রয়েছে। তবে আমাদের নোটিশ দেওয়ার পর এরই মধ্যে লাইসেন্সের জন্য ব্যবসায়ীরা আবেদন করতে শুরু করেছেন।’ খুচরা লাইসেন্সের জন্য ২,৫০০ টাকা ও পাইকারি লাইসেন্সের জন্য ৫,০০০ টাকা খরচ হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন-
খুমেক হাসপাতালে মানসিক ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ
রোহিঙ্গা নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হচ্ছে

/টিআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করলে হামাস ক্ষমতায় থেকে যাবে: নেতানিয়াহু
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করলে হামাস ক্ষমতায় থেকে যাবে: নেতানিয়াহু
ব্যাংক চলাকালীন এনবিআরকে অভিযান চালাতে হবে: হাইকোর্ট
ব্যাংক চলাকালীন এনবিআরকে অভিযান চালাতে হবে: হাইকোর্ট
যেভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে চুল মোলায়েম হবে
যেভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে চুল মোলায়েম হবে
জিএসটির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
জিএসটির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
সর্বাধিক পঠিত
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
শোইগুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে পুতিনের?
শোইগুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে পুতিনের?