X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

ছুটি পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়তেন পিয়াস

আনিসুর রহমান স্বপন, বরিশাল
১৪ মার্চ ২০১৮, ০৩:২৩আপডেট : ১৪ মার্চ ২০১৮, ১১:৩৭

ডা. পিয়াস রায় ভ্রমণের নেশা থেকেই নেপাল গিয়েছিলেন ডা. পিয়াস রায়। ছোটবেলা থেকেই ভ্রমণপিপাসু পিয়াস ছুটি পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়তেন। নেপাল যেতে ইউএস বাংলার ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ উড়োজাহাজে চড়েছিলেন। কিন্তু কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হলে তিনি নিহত হন।

বরিশাল নগরীর এমএ গফুর সড়কের বাসায় গিয়ে দেখা গেছে মা পূর্ণা রানী মিস্ত্রি বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। বাসায় চলছে স্বজনদের আহাজারি। সবাই অপেক্ষা করছেন কখন আসবে পিয়াসের মরদেহ। ঢাকায় ইউএস-বাংলা অফিসে আছেন কয়েকজন স্বজন।

পিয়াসের বোন-জামাই সুসময় সরকার বলেন, ‘পিয়াস এসএসসি পরীক্ষার পর থেকে অবসর সময়ে নানা জায়গায় ঘুরতে যেতো। ইতোমধ্যে ভারতে ছয়বার ও নেপালে আরও দুইবার ভ্রমণ করেছিল। কয়েকদিন আগে তার মেডিক্যাল কলেজের শেষবর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। পরীক্ষা দিয়েই সে নেপাল ভ্রমণে যায়।’

পিয়াস রায়ের বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায় জানান, নেপালে পিয়াসের বন্ধুরা রয়েছে। এর আগেও দেশের বাইরে ঘুরতে গেছে পিয়াস। নেপালের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে সোমবার সকালে ও সর্বশেষ প্লেনে ওঠার আগে সোয়া ১১টার দিকে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার।

পিয়াসের মা পূর্ণা রানী মিস্ত্রি বলেন, ‘১১ মার্চ রাতে বরিশাল থেকে লঞ্চযোগে ঢাকায় যায় পিয়াস। সে সময় তিনি তার ছেলেকে লঞ্চঘাটে দিয়ে আসেন। ১২ মার্চ সকালে ঢাকায় চাচাতো ভাইয়ের বাসায় গিয়ে ওঠে পিয়াস। সেখান থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নেপালের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে পিয়াস।’

মা পূর্ণা রানী মিস্ত্রি বলেন, ‘সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পিয়াসের সঙ্গে তার শেষ কথা হয়েছে। তখন পিয়াস জানিয়েছিল— কিছুক্ষণের মধ্যে সে বিমানে উঠবে। এরপর আর তার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ হয়নি।’

ডা. পিয়াস রায় পিয়াসের বোন শুভ্রা রায় বলেন, ‘পিয়াস (BC0759899) নম্বরের পাসপোর্টধারী যাত্রী ছিল। তার টিকিটে যাওয়ার ফ্লাইট নম্বর ছিল (BS 211)। ওই এয়ারওয়েজের (BS 212) নম্বর ফ্লাইট ধরে ১৬ মার্চ দুপুর তিনটায় কাঠমান্ডু থেকে পিয়াসের ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। দুটি টিকিটই অগ্রিম কাটা ছিল। কিন্তু দেশে ফেরার বদলে না-ফেরার দেশে চলে গেল পিয়াস।’

পিয়াস রায় জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের মধুকাঠি গ্রামের বাসিন্দা সুখেন্দু বিকাশ রায়ের ছেলে। বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায় ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার চন্দ্রকান্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মা পূর্ণা রানী মিস্ত্রি বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

দুই ভাই-বোনের মধ্যে পিয়াস রায় ছিল বড়। বোন শুভ্রা রায় রাজধানী ঢাকার নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

বুড়িমারী জিরো পয়েন্টে পিয়াস পিয়াস বরিশাল জিলা স্কুল থেকে এসএসসি ও ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হন।

ছাত্রজীবনে ওই মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন পিয়াস। 

আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পিয়াস রায়ের বাড়ি বরিশালে

/এনআই/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
ইউএস বাংলার সার্ভিসের মান মনিটরিং করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি
‘তারা কীভাবে জানলো পাইলট ধূমপান করছিলেন’
নেপালে বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনের দেরিতে সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ
সর্বশেষ খবর
পবিত্র কোরআনে বৃষ্টির নানা রূপ বর্ণনা
পবিত্র কোরআনে বৃষ্টির নানা রূপ বর্ণনা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
টিভিতে আজকের খেলা (৩ মে, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৩ মে, ২০২৪)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে