X
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
২৩ আষাঢ় ১৪৩২

ইসির ল্যাপটপ গায়েব: মামলা তদন্তে কাউন্টার টেরোরিজম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:৪০আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:০৬

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন অফিসের ল্যাপটপ গায়েবের ঘটনায় চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলা তদন্ত করবে নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে থানায় মামলাটি দায়ের করেন ডবলমুরিং থানার নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম) মো. শহীদুল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে সোমবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিনসহ তিন জনকে আটক করে কর্তৃপক্ষ। পরে কোতোয়ালি থানায় খবর দিয়ে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এরপর সোমবার ভোরে ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং নির্বাচন কমিশন আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

মো. শহীদুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মামলাটি তদন্তের জন্য সিএমপি কমিশনার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন। পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়াকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের একটি টিম থানা থেকে মামলার নথিপত্র সংগ্রহ করেছে।’

মামলার আসামিরা হলেন, ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিন (৩৫), পটিয়া উপজেলার মৃত হারাধন দাসের ছেলে বিজয় দাস (২৬) ও তার বোন সীমা দাস ওরফে সুমাইয়া (২৪), সত্য সুন্দর দে (৩৮) ও সাগর (৩৭)। আসামিদের মধ্যে সাগর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির প্রজেক্টে কাজ করতেন। অনিয়মের অভিযোগ থাকায় তাকে এই প্রজেক্ট থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। সাগর এই চক্রের মূলহোতা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) নোবেল চাকমা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জয়নাল জানিয়েছেন, সাগর এই চক্রের মূলহোতা। সে ঢাকায় এনআইডি প্রজেক্টে কাজ করতো। বর্তমানে চাকরিচ্যুত। এই সাগরই রোহিঙ্গাদের এনআইডি’র তথ্যগুলো সার্ভারে আপলোড করতেন।’

তিনি বলেন, ‘মামলাটি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য। কে এই চক্রের মূলহোতা। এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত সবই তদন্তে উঠে আসবে বলে আশা করি।’

জয়নালসহ তিন জনকে আটকের পর সোমবার রাতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাছানুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ‘জয়নালের কাছে নির্বাচন কমিশনের একটি ল্যাপটপ ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় জয়নালকে আটক করে ওই ল্যাপটপ সর্ম্পকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানায়, ল্যাপটপটি তার বন্ধু বিজয় দাসের কাছে আছে। তার মাধ্যমে আমরা বিজয় দাসকে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে হাজির করি। এরপর বিজয় দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায়, ল্যাপটপটি তার বোন সুমাইয়ার কাছে আছে। তাদের মাধ্যমে সুমাইয়াকে ল্যাপটপটি অফিসে আনতে বলা হয়। সুমাইয়া এলে তাকেও আটক করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘লাইসেন্সকৃত ল্যাপটপটি ব্যবহার করে তারা এনআইড জালিয়াতি করেছে। ওয়েবক্যামের মাধ্যমে ছবি তুলে এই ল্যাপটপ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজ করা যায়। এই চক্রের সঙ্গে আরও কর্মচারী জড়িত থাকতে পারে। তদন্ত করে তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।’

আরও পড়ুন- চট্টগ্রাম ইসি থেকে ‘হারিয়ে যাওয়া’ ল্যাপটপ দিয়েই রোহিঙ্গাদের এনআইডি হচ্ছে, সন্দেহ দুদকের

/এফএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর জমি জব্দ, হিসাব অবরুদ্ধ
শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর জমি জব্দ, হিসাব অবরুদ্ধ
পিডিবির অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হযরত আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 
পিডিবির অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হযরত আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 
শিশু ধর্ষণ মামালায় আসামির যাবজ্জীবন
শিশু ধর্ষণ মামালায় আসামির যাবজ্জীবন
ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুল হকের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ 
ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুল হকের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ 
সর্বাধিক পঠিত
লোহিত সাগরে জাহাজে হামলায় আগুন, ডুবে যাওয়ার শঙ্কা
লোহিত সাগরে জাহাজে হামলায় আগুন, ডুবে যাওয়ার শঙ্কা
ফার্মেসিতে ওষুধের আড়ালে ‘ট্যাপেন্টাডল’ বিক্রির অভিযোগ, আটক ৫
ফার্মেসিতে ওষুধের আড়ালে ‘ট্যাপেন্টাডল’ বিক্রির অভিযোগ, আটক ৫
নদীতে ইলিশের দেখা মিলছে না কেন
নদীতে ইলিশের দেখা মিলছে না কেন
প্রসিকিউশন গণহত্যার দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেনি: শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স
প্রসিকিউশন গণহত্যার দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেনি: শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স
বিশেষ বিমানে গুজরাট থেকে দুই শতাধিক ‘বাংলাদেশি’কে সীমান্তে পাঠালো ভারত 
বিশেষ বিমানে গুজরাট থেকে দুই শতাধিক ‘বাংলাদেশি’কে সীমান্তে পাঠালো ভারত