বগুড়ার নন্দীগ্রামে দাম্পত্য কলহের জেরে ডিটারজেন্ট খাওয়ার পর অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে নিরুদ্দেশ হয়েছেন শাহীন আলম (৩০) নামে একজন স্থানীয় যুবলীগ নেতা। তিনি এক কলেজছাত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অসুস্থ স্ত্রী রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে মারা গেছেন।
নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ও বুড়ইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও আফুছাগাড়ি গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে শাহীন আলমের সঙ্গে তুলাশন গ্রামের এক কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্ত্রী রেহেনা বেগমের সঙ্গে এটা নিয়ে শাহীনের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে শুক্রবার দুপুরে রেহেনা বেগম ডিটারজেন্ট পাউডার পানিতে মিশিয়ে পান করেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে শাহীন তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর সন্ধ্যার দিকে প্রেমিকাকে নিয়ে উধাও হন শাহীন। রবিবার সকালে হাসপাতালে মারা যান স্ত্রী রেহেনা বেগম।
বুড়ইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ নূর মোহাম্মদ জানান, যুবলীগ নেতা শাহীনের দুটি সন্তান রয়েছে। অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে তিনি কলেজছাত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবির জানান, তিনি লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছেন। এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেননি।