X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাগুরার অধিকাংশ প্রাথমিকেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করছে শিশুরা

মাজহারুল হক লিপু, মাগুরা
০২ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:২৭আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:২৯

জরাজীর্ণ ভবনেই জীবনের ঝুঁকি ক্লাস করতে হচ্ছে শিশুশিক্ষার্থীদের মাগুরার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মিত হলেও সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় ছোট হওয়ায় সেখানে স্থান সংকুলান হচ্ছে না সব ছাত্রছাত্রীর। এজন্য নিরুপায় হয়ে পুরনো জরাজীর্ণ ভবনেই জীবনের ঝুঁকি ক্লাস করতে হচ্ছে শিশুশিক্ষার্থীদের। জায়গার অভাবে অনেক বিদ্যালয়ে টিনশেড ঘর করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে ও বর্ষায় টিনশেডে ক্লাস করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, মাগুরায় মোট ৫০৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর অধিকাংশতেই সরকারি ভবন রয়েছে। এছাড়াও চাহিদার ভিত্তিতে জরাজীর্ণ বা ব্যবহার অনুপযোগী এরকম প্রায় ২৫০টি বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য নাম পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দুইশ’ স্কুলকে নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে কয়েকটি স্কুলে দেখা গেছে, সরকারি ভবন থাকলেও স্থান সংকুলান না হওয়ায় আদি ভবনেই ক্লাস চালাতে বাধ্য হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পুরনো ভবনের অধিকাংশই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সদর উপজেলার শ্রীকুন্ঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি ভবন থাকলেও তা ছাত্র-ছাত্রীদের স্থান সংকুলানের জন্য যথেষ্ট নয়। বাধ্য হয়েই তারা টিনশেড বিল্ডিংয়ে ক্লাস চালাচ্ছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আফরোজা খাতুন বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে টিনশেড ভবনে ক্লাস চালাচ্ছি। গরমে অতিষ্ঠ ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে খুবই বিপদে পড়তে হয়। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে।’

ছাদে ঠেস দেওয়া হয়েছে বাঁশ দিয়ে একই উপজেলার বজরুক শ্রীকুন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী বিলকিস বানু বলেন, ‘স্কুলটি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি সরকারি হয়েছে। কিন্তু আমাদের অবকাঠামোগত কোনও পরিবর্তন আসেনি। আমরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস নিচ্ছি। যখন-তখন ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে পড়ছে। আমরা ছেলেমেয়েদের নিয়ে শঙ্কিত থাকি সব সময়।’

মাগুরা কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রমিম বলেন, ‘স্কুলে সরকারিভাবে একটি দ্বিতল ভবন থাকলেও ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যার অনুপাতে তা যথেষ্ট নয়। ফলে আমাদের পুরাতন টিনশেড ভবনেই ক্লাস নিতে হচ্ছে। একটু ঝড় হলেই তা নড়তে থাকে। আমরা সব সময় আতঙ্কিত থাকি শিশুদের নিয়ে। তাছাড়া এখানে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। বাইরের স্কুল থেকেও অনেক শিশু পরীক্ষা দিতে আসে এখানে।’

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, ‘পুরনো এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলো সম্পর্কে আমরা নিয়মিত খোঁজখবর নিই। এর অনেকগুলোর মেরামত কাজ চলছে। অনেকগুলোর মেরামতের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এছাড়া আমরা প্রায় ২৫০ বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন চেয়েছি। যার অধিকাংশেরই ভবন বরাদ্দ হয়েছে।’  খুব শিগগিরই এসব ভবনের কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

/এমএএ/
সম্পর্কিত
বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে মাগুরায় নিহত ৩
‘কিংস পার্টিতে’ সাকিবের যোগদানের বিষয়টি জানেন না মহাসচিব
মেয়াদোত্তীর্ণ ৮০ বস্তা খেজুর বিক্রির পর  ১২০ বস্তা জব্দ
সর্বশেষ খবর
ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বুনো হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বুনো হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
কোনও রান না দিয়ে ৭ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে ইন্দোনেশিয়ার বোলারের বিশ্ব রেকর্ড
কোনও রান না দিয়ে ৭ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে ইন্দোনেশিয়ার বোলারের বিশ্ব রেকর্ড
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত