X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাগমারায় করোনাভাইরাস সন্দেহে দাফনে বাধা

রাজশাহী প্রতিনিধি
৩১ মার্চ ২০২০, ২১:৫৮আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২০, ২১:৫৯




রাজশাহী বাগমারায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এক ব্যক্তি। এরপর লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারেন, এমন আশঙ্কায় দাফনে বাধা দেন এলাকার লোকজন। তবে ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে মারা যাননি, স্বাস্থ্য বিভাগের এমন আশ্বাসের পর পুলিশের উপস্থিতিতে লাশ দাফন করা হয়।

মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম আবদুল মান্নান (৪৬)। তিনি ইটভাটা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বাড়ি উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের বাজেকোলা গ্রামে।

পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ইটভাটার শ্রমিক আবদুল মান্নান রবিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। স্বজনদেরও জানানো হয় মৃত্যুর সংবাদ। ততক্ষণে তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ মারা যাওয়ায় এলাকার লোকজনের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তারা ধারণা করেন মান্নান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিশ্চিত না হয়ে লাশ দাফনে আপত্তি জানান।

পরে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে ঘটনাটি জানানো হয়। এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন সোমবার (৩০ মার্চ) আবদুল মান্নানের বাড়িতে যান। স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন তার পরিবার এবং আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়, মান্নান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না বলে এলাকার লোকজনদের আশ্বস্ত করে প্রশাসন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে সোমবার বেলা একটার দিকে আবদুল মান্নানের লাশ দাফন করা হয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, হঠাৎ মারা যাওয়াতে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ওই শ্রমিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না। বেশি জমায়েত যাতে না হয়, এ জন্য পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে দাফন করা হয়েছে।

স্বজনদের ভাষ্য, আবদুল মান্নান দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। সর্দি, জ্বর, কাশি বা করোনাভাইরাসের অন্য কোনও উপসর্গ ছিল না। এসব বলার পরও এলাকার কিছু বাসিন্দা বিষয়টি মানছিলেন না। তাদের পক্ষ থেকে বাধা না পেলে রাতেই বা সকালে লাশ দাফন করা হতো।

বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী বলেন, মৃত শ্রমিকের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এবং উপসর্গ দেখে মনে হয়েছে তিনি হৃদরোগে মারা গেছেন। করোনা ভাইরাসের কোনো উপসর্গ ছিল না এবং তিনি কোনও বিদেশফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাননি। বিষয়টি এলাকার লোকজনদের জানানোর পরই দাফনে তারা সম্মতি দিয়েছে।

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
উপজেলা নির্বাচন: ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
উপজেলা নির্বাচন: ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
মেলায় জাদু খেলার নামে ‘অশ্লীল নৃত্য’, নারীসহ ৫ জন কারাগারে
মেলায় জাদু খেলার নামে ‘অশ্লীল নৃত্য’, নারীসহ ৫ জন কারাগারে
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা