নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পাঁচ জলদস্যুকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় অপহৃত ৯ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৬ মে) গভীর রাতে উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের উত্তর পাশে গাসিয়ারচর সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে জলদস্যুদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বন্দুক, গুলি ও রামদা জব্দ করা হয়।
রবিবার (১৭ মে) হাতিয়া কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট বিশ্বজিত বড়ুয়া এসব তথ্য জানান।
আটক পাঁচ জলদস্যু হলো—লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার তালতলি ইউনিয়নের চরমার্টিন গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে মো. পারভেজ (২৭), একই থানার চর কাদিরা গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে মো. বেলাল হোসেন (২৮), রামগতি উপজেলার চর গজারিয়ার আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হাসান (৪৫), একই এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে মো. হারুন (৩৫) এবং ভোলা জেলার তজুমদ্দি উপজেলার চর জহিরুদ্দিন গ্রামের মফিজ মাস্টারের ছেলে মো. হোসেন (৩৩)।
উদ্ধার হওয়া ৯ জেলের মধ্যে একজনের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্নচর উপজেলায় এবং বাকিদের বাড়ি হাতিয়ায়।
বিশ্বজিত বড়ুয়া জানান, গত কয়েক দিন ধরে মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৯ জেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা চলছে—এমন সংবাদের-ভিত্তিতে কোস্টগার্ডের একটি টিম মেঘনা নদীতে অভিযান যায়। শনিবার রাতে কোস্টগার্ড গাসিয়ারচর সংলগ্ন জলদস্যুদের ধাওয়া করলে কয়েকজন পালিয়ে যায়। এ সময় পাঁচ জলদস্যুকে আটক করা হয়; তাদের কাছ থেকে দু’টি বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা গুলি ও পাঁচটি রামদা জব্দ করা হয়। উদ্ধার করা হয় অপহৃত ৯ জেলেকে।
তিনি আরও জানান, পাঁচ জলদস্যুকে হাতিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার হওয়া জেলেদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, আটক জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড বাদী হয়ে রবিবার দুপুরে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও অস্ত্র আইনে হাতিয়া থানায় দু'টি মামলা দায়ের করেছে।