ঈদুল ফিতরের আর মাত্র একদিন বাকি। প্রতিবছর এই সময়ে দেশের অন্যতম ব্যস্ততম মহাসড়ক ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু করোনার কারণে এবার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এই মহাসড়কে ঈদযাত্রায় প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলই বেশি চোখে পড়ছে। রাস্তায় কোনও যানজট নেই।
শনিবার (২৩ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কোথাও গণপরিবহনের দেখা মিলেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে শুধু পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের অনুমতি থাকায় যাত্রীদের সংখ্যাও কম।
এদিকে, মহাসড়কে নির্দেশ অমান্য করে যাতে কোনও গণপরিবহন চলাচল করতে না পারে, সে জন্য বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোস্ট।
গণপরিবহনের অভাবে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে অনেকে বাড়ি ফিরছেন। এসবের বেশির ভাগই রেন্ট-এ-কার (ভাড়ায় চালিত)।
এছাড়া মোটরসাইকেলে করেও ঘরে ফিরছেন মানুষ। তবে মোটরসাইকেলে চালকসহ দুই জনের বেশি আরোহী থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরপরও বেশিরভাগ মোটরসাইকেলেই দেখা গেছে চালকসহ তিন জন আরোহী।
মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার চরপাড়া মোড় পুলিশ চেকপোস্টের দায়িত্বরত মির্জাপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন বলেন, 'সরকারি নির্দেশের পর মহসড়কে কোনও গণপরিবহন চলাচল করছে না। পণ্যবাহী ট্রাকে যেন কেউ যাত্রী নিতে না পারে, সেই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেসব ট্রাকে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে, তাদের ফিরতি পথে পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি চালকসহ দুই জনের বেশি থাকা মোটরসাইকেলগুলোকে প্রয়োজনীয় কাগজ না থাকলে নিয়মিত মামলা দেওয়া হচ্ছে।'
টাঙ্গাইলের সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শফিকুল ইসলাম বলেন, 'জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মহাসড়কের মির্জাপুরের গোড়াই থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে চারটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এই সব চেকপোস্টে ঈদে বাড়ি ফেরার বিষয়ে সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনও গণপরিবহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি ট্রাক-পিকআপের ছাদেও যাত্রী বহন করতে দেওয়া হচ্ছে না।'