নারায়ণগঞ্জ বন্দরে অনুমোদনহীন কারখানায় তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নিয়ে বানানো হতো মানহীন মশার কয়েল। কাঠের গুড়া, নারকেলে ছোবা, তেঁতুল বীচি, লাসা আঠা ও মেপার ফ্লু থিনি মিশিয়ে এসব কয়েল বানানো হতো। যা পাঠানো হতো উত্তরবঙ্গসহ দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বন্দরের গোকুলদাসের বাগ এলাকার ওই পাচঁটি কয়েল কারখানায় অভিযান চালায় র্যাব-১১। এ সময় পাচঁটি কারখানায় থেকে বিপুল পরিমাণ কয়েল জব্দ করা হয় এবং পাঁচ ম্যানেজারকে আটক করা হয়।
র্যাব ১১ সিনিয়র সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, সাব্বির ক্যামিক্যাল, বিথি এন্টারপ্রাইজ, সেবা করপোরেশন, শারমিন ক্যামিক্যাল কোম্পানিসহ পাঁচটি কারখানায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে মানহীন মশার কয়েল উৎপাদন, বিপণন করা হয়। এমন খবর পেয়ে র্যাব একটি টিম মঙ্গলবার অভিযান চালায় র্যাব। এসময় বিপুল পরিমাণ মানহীন কয়েল জব্দ করা হয়। পাঁচ ম্যানেজারকে আটক করা হয়। পরে র্যাবের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আটককৃতরা স্বীকার করে তাদের উপাদিত মশার কয়েল মানহীন ও কেমিক্যাল এক্সপার্ট দিয়ে প্রস্তুতকৃত নয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পাঁচ জনের প্রত্যেককে একবছর করে সাজা দিয়েছেন। কারখানা সিলগালা করে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ডেকে এনে প্রতিটি কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
পলাশ কুমার বসু জানান, পাঁচটি কারাখানায় গ্যাসের সংযোগ সম্পূর্ণ অবৈধ। এসব কারখানাগুলোয় প্রতি মাসে ৫-১০ লাখ টাকার গ্যাস পোড়ানো হচ্ছে। কিন্তু তারা কোনও বিল দেয না। প্রতিটি কারাখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং কারখানা সিলগালা করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিন্মায় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি র্যাব-১১ সার্বক্ষণিক নজদারিতে রাখবে।