X
শনিবার, ১১ মে ২০২৪
২৮ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লায় দুই ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড বহাল

কুমিল্লা প্রতিনিধি
১৫ জুলাই ২০২০, ০৩:৪৮আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২০, ০৪:০৪

গ্রেফতার হওয়া দুই ধর্ষক (ফাইল ছবি)

কুমিল্লার দেবিদ্বারের শিশু ছাত্রী ফারজানা আক্তারকে (১২) ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় আবদুর রশিদ ও বশিরুল আলম নামের দুই আসামির ফাঁসির রায় হাইকোর্টে বহাল রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) উচ্চ আদালতের রায়ের ওই নথি হাতে পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শাহ কামাল আকন্দ ও আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ফারজানাকে ধর্ষণ ও হত্যার পর নিজেদের দায় এড়াতে জিন তাকে মেরে ফেলেছে বলে এলাকায় অপপ্রচার চালায় আসামিরা।

২০১০ সালের ১৬ জুন উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের স্কুলছাত্রী ফারজানা আক্তার বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে একটি বাঁশঝাড়ের নিচে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা আবু বকর সিদ্দিক দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা হামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেসমিন আরা বেগম আসামি আবদুর রশিদ (২৭) ও বশিরুল আলমের (২৭) ফাঁসির আদেশ এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার রায় দিয়েছিলেন।

কুমিল্লার আদালত সূত্রে জানা যায়, ওই মামলায় দুই আসামির ফাঁসির রায় দেওয়ার পর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষ হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়ের করে। আপিল না মঞ্জুর করে এর নিষ্পত্তিতে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি দুই আসামির ফাঁসির রায় বহাল রাখে। মঙ্গলবার মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা (বর্তমানে ওসি ডিবি- ময়মনসিংহ) পুলিশ পরিদর্শক শাহ কামাল আকন্দ জানান, ‘শিশু ফারজানাকে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আবদুর রশিদ ও বশিরুল আলম নৃশংসভাবে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল, গ্রেফতারের পর উভয় আসামি আদালতে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল।’

উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ফারজানাকে দেবিদ্বার উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ের নিচে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে বাঁশঝাড়ের নিচ থেকে ফারজানার লাশ উদ্ধার করে জিন তাকে মেরে ফেলেছে বলে এলাকায় অপপ্রচার চালায় আসামিরা। এ ঘটনার দুইদিন পর শিশুটির বাবা আবু বকর সিদ্দিক তার পার্শ্ববর্তী বাড়ির মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে আবদুর রশিদ (২৭) ও আবদুল হাকিমের ছেলে বশিরুল আলমকে (২৬) আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানার তৎকালীন এসআই (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ডিবি ময়মনসিংহ) শাহ কামাল আকন্দ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের
এক মোটরসাইকেলে ৩ ব্যবসায়ী, কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেলো দুজনের
এক মোটরসাইকেলে ৩ ব্যবসায়ী, কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেলো দুজনের
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই বছরই শেষ অ্যান্ডারসনের
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই বছরই শেষ অ্যান্ডারসনের
ফলন বেশি, চরাঞ্চলের কৃষকরা ঝুঁকছেন ‘জাপানি মিষ্টি আলু’ চাষে
ফলন বেশি, চরাঞ্চলের কৃষকরা ঝুঁকছেন ‘জাপানি মিষ্টি আলু’ চাষে
সর্বাধিক পঠিত
ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় জিডি নয়, মামলা নেওয়ার নির্দেশ
ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় জিডি নয়, মামলা নেওয়ার নির্দেশ
২০ মিনিটে লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর, চলবে না অটোরিকশা-বাইক
২০ মিনিটে লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর, চলবে না অটোরিকশা-বাইক
সরকারি গাড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার, তুলছেন ভ্রমণ বিলও
সরকারি গাড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার, তুলছেন ভ্রমণ বিলও
একই গ্রাম থেকে নির্বাচিত হলেন তিন চেয়ারম্যান
একই গ্রাম থেকে নির্বাচিত হলেন তিন চেয়ারম্যান
প্রশ্নফাঁস: বিমানের ডিজিএমসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র
প্রশ্নফাঁস: বিমানের ডিজিএমসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র