ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হয়েছে গাইবান্ধা সদরের কামারজানী ইউনিয়নের গো-ঘাট গ্রামের একটি দুর্গা মন্দির। শুক্রবার (২৪ জুলাই) দুপুরে মন্দিরটি নদী গর্ভে বিলীন হয়।
দুই দফা বন্যায় ব্রহ্মপুত্র নদের অপ্রতিরোধ্য ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের তীব্রতা এতবেশি যে, মন্দিরটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময়ও পাওয়া যায়নি। চলমান ভাঙনরোধে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীরা।
এদিকে অব্যাহত ভাঙনে গত কয়েক দিনে গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের বসত বাড়ি ও আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে স্লুইস গেট, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, বন্দর, কামারজানি মার্চেন্ট হাই স্কুল এবং অন্তত ৫০০ পরিবারের বাড়ি ও ফসলি জমি।
স্থানীয়রা জানান, গো-ঘাট গ্রামে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের বসবাস ছিল। চার বছর আগে ২০১৬ সালে গ্রামটি ভাঙনের কবলে পড়ে। এরআগেও গ্রামের প্রায় কয়েক শ’ পরিবারের বসত বাড়ি, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মসজিদসহ অসংখ্য স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিনের ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকরী কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের কবলে পড়ছে গ্রামগুলো। নদীর ভাঙনে সবকিছু কেড়ে নিয়ে অনেককে সর্বশান্ত করে দিয়েছে। গৃহহারা হয়েছে কয়েক শ’ পরিবার। তাদের অনেকেই খেয়ে না খেয়ে অতি কষ্টে জীবন পার করছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘কামারজানির গো-ঘাট গ্রাম নদী ভাঙন কবলিত এলাকা। ব্রহ্মপুত্রে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে পাউবো প্রতিরক্ষামূলক কাজ করলেও তাতে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হয়নি। তবে ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে ৪০১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেক অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ওই এলাকার মানুষ নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।’