অত্যাধিক গরমে বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের শ্রমজীবী মানুষ। গরমের জন্য তারা ঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। একটু কাজ করলেই হাফিয়ে উঠছেন তারা। গাছের ছায়ায় বসে খুঁজছেন প্রশান্তি। রবি ও সোমবার সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ছিল। তবে মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বৃষ্টি না হওয়ায় গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষের।
সদরের বাঙ্গিবেচা এলাকার কৃষক হাবিব উদ্দিন বলেন, গরমের জন্য ক্ষেতে যাওয়া যাচ্ছে না। ঈদের পর থেকেই গরম শুরু হয়েছে। বাতাসও নেই, একটু বৃষ্টি হলে ভালো হয়।
একই এলাকার কৃষক সোলায়মান আলী বলেন, সকালে উঠে ছাতা নিয়ে ক্ষেতে বের হয়েছি। কিন্তু ছাতা মাথায় দেওয়ার পরও কোনও লাভ হচ্ছে না। গরমের কারণে ক্ষেতে কাজ করা যাচ্ছে না। ঘাম বেশি হওয়ায় পিপসা লাগছে এবং শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
রিকশাচালক একরামুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড গরমের জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। শ্রমজীবী মানুষ তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। আমি রিকশা নিয়ে বের হলেও বেশি ভাড়া আদায় করতে পারিনি। একটু পর পরই বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে গরম একটু কমতে পারে।
গরমের ফলে চাহিদা বেড়েছে ডাব ও আখের রসের। ক্লান্ত মানুষজন রাস্তার ধারে ডাব ও আখের রস খেয়ে পিপাসা নিবারণ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আখের রস বিক্রেতা জানান, গরম পড়ায় অনেকেই আখের রস খেয়ে পিপাসা মেটাচ্ছেন। আগে যে পরিমাণ আখের রস বিক্রি করতে সন্ধ্যা হয়ে যেতো এখন সেই পরিমাণে আখের রস বিক্রি হচ্ছে দুপুরের মধ্যেই।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দিনাজপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বর্তমানে জেলায় যে তাপপ্রবাহ চলছে যা প্রশমিত হয়ে যাবে। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে যাতে করে মেঘ এসে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা কমে যাবে এবং পরশু দিন থেকে তাপপ্রবাহ থাকবে না। বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হলেও জেলায় সেভাবে বৃষ্টিপাত হবে না। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে।